মো: জাকির হোসেন,বেনাপোল,বেনাপোল কাষ্টমস ইমিগ্রেশনে সাংবাদিকদের প্রবেশে পুরোপুরি ভাবে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছেন বেনাপোল কাষ্টমস ডেপুটি কমিশনার -জাকির হোসেন। নিজের দম্ভোক্তি প্রকাশ করে তিনি এমন ব্যবস্থা গ্রহন করে চলেছেন,যা কিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি হুমকি স্বরুপ।মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বুদ্ধিজীবিদের নি:শেষ করতে পাক হানাদার বাহিনীরা যেমনটি হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল ভদ্ররুপের এই লোকটি আজ সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়েছেন। কেন,কি কারনে সাংবাদিকদের প্রতি তার এই নেতিবাচক আচরন, এ সম্পর্কে কিছু জানতে গেলে ডেপুটি কমিশনার সাংবাদিকদের জানান, কাষ্টমস ইমিগ্রেশন সরকারের সংরক্ষিত এলাকা অনুমোদন ব্যাতিত এখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ,সাংবাদিকদের প্রবেশের ব্যাপারেও তিনি একই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। আমরা যতটুকু জানি,সংরক্ষিত এলাকা বলতে যেখানে মানুষের জীবন নাসের প্রশ্ন রয়েছে। বলা যেতে পারে পাওয়ার প্লান্ট,খাদ্য গুদাম,গোলাবারুদ সংরক্ষনাগার, পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইত্যাদিঅ এলাকাগুলোয়ই সংরক্ষিত এলাকা। বেনাপোল স্থলবন্দর দেশের বৃহৎতম স্থল বন্দর। এখানে স্থলপথে বৈদেশিক আদান-প্রদানে বৈধ মালামাল পারাপার এবং প্রতিদিন বৈধভাবে শত শত পাসপোর্ট যাত্রীর চলাচল অব্যাহত। জীবন নাশের কোন প্রকার আশঙ্কা নেই। পাসপোর্ট যাত্রী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ সেখানে অবাধে যাতায়াত করছে। ইমিগ্রেশনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করায় সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধাগ্রস্থ হচ্ছেন। ডেপুটি কমিশনার জাকিরের এহনো আচরনে বেনাপোলের সর্বস্তরের সাংবাদিকবৃন্দ তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়েছেন। অনতিবিলম্বে ডেপুটি কমিশনারের নিজ আদলেগড়া নির্দেশনা প্রত্যাহার পূর্বক সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে সহযোগীতা না করলে অত্র এলাকার সর্বস্তরের সাংবাদিকবৃন্দ দুর্বার আন্দোলন গড়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছেন। দ্রষ্টব্য,স্থলপথে পার্শবর্তী দেশ ভারতের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যান্ত সহজতর হওয়াই বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে বৈধভাবে পন্য পারাপারের পাশাপাশি চোরাকারবারিরা অবৈধভাবে মালামাল পার করে থাকে আর এ কাজে সহায়তা করে থাকে কাষ্টমস হাউজ এবং কাষ্টমস ইমিগ্রেশনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা/ কর্মচারি। ইতোপুর্বে যে সকল স্বর্ণ এবং হুন্ডির টাকা উদ্ধার করা হয়েছে তার বেশী সংখ্যক চালান এই কাষ্টমস ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়েই পাচারের পরিকল্পনা করা হয়। মিডিয়ার ব্যাপক প্রচার-প্রচারনার কারনে বর্তমানে চোরাকারবারিদের ব্যাপকতা অনেকাংশে কমে এসেছে। হঠাৎ করে ডেপুটি কমিশনার জাকির হোসেন কাষ্টমস ইমিগ্রেশনে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারী করায় বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধের সম্মুখীন। চোরাকারবারিদের সুযোগ প্রদানের জন্য এমনটি করা হচ্ছে,নাকি সাংবাদিক দমনে নতুন কোন পরিকল্পনার ছক তৈরী করা হচ্ছে?