ঝিনাইদহ বংকিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি গঠনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

264
ঝিনাইদহ বংকিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি গঠনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

সাহিদুল এনাম পল্লব, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ সদরের সাধুহাটি ইউনিয়নের বংকিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, প্রিজাইডিং অফিসার ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে ম্যানেজ করে তার পছন্দমত সদস্যদেরকে নিয়ে রাতের অন্ধকারে কমিটি গঠন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে কোন অভিভাবক কথা বলতে গেলে স্থানীয় মাস্তানদেরকে দিয়ে হুমকি ধুমকি দিয়ে তাদেরকে স্কুলের ক্যাম্পাসে আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। প্রিজাইডিং অফিসার ম্যানেজ হয়ে সে তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করে প্রধান শিক্ষকের ওপর দায়িত্ব দিয়ে বসে আসে আর প্রধান শিক্ষক সেই সুযোগের সৎ ব্যবহার করে নিচ্ছে। এদিকে অভিভাবক শরিফুল ইসলাম, শ্যামল কর্মকার ও রায়হান অভিযোগ করে বলে গত ২১ মে দুপুর দুইটার দিকে তারা সদস্য হওয়ার উদ্দেশ্যে মনোনয়ন ফরম ক্রয় করতে গেলে তাদেরকে নজির চেয়ারম্যান, মামুন, সবুজ, মনিরুল ওতার সঙ্গিয় অজ্ঞাতলোকজন তাদেরকে ক্যাম্পাসে ঠুকতে বাধা প্রদান করে এবং ঢুকতে দেয়না।

তাদেরকে পঙ্গু করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেয় প্রধান শিক্ষক ও চেয়ারম্যানের লোকেরা। তারা মনোনয়ন ফরম কিনতে ব্যর্থ হয়ে ঘটনা জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করে। উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ ওয়াজেদ আলীকে নির্দেশ দেয় কিন্তু ওয়াজেদ আলী অসুস্থ্য থাকায় তদন্তের বিষয়টি ঝুলে থাকে এই সুযোগে প্রধান শিক্ষক ও চেয়ারম্যান তড়িঘড়ি করে তাদের পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী কমিটি গঠন কার্য চালিয়ে যাচ্ছে।

স্কুলের সাবেক সভাপতি ও বংকিরা ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ এনামুল হক (ডালু) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন ঘটনা সত্য মনোনয়পত্র গ্রহণের শেষ দিন অনেক অভিভাবক ফরম ক্রয় করতে গিয়েছিলো কিন্তু তাদেরকে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ঐ এলাকার লোকজন এবং অভিভাবকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাই বিদ্যালয়ের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।

এব্যাপরে বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার সুজন কুমার সরকার জানায় ফরম বিক্রির দায়িত্ব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে দিয়েছি এখন এব্যাপারে আমার কিছু করার নেই। প্রধান শিক্ষক বলে আমার জানা মতে কেও ফরম কিনতে পারে নাই এমন নাই।

এ ব্যপারে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মী ইসলাম বলে যে একটি অভিযোগ এসেছে। তা মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়ে যাওয়ার পরের দিন। তারা যদি ফরম বিক্রি হওয়ার শেষ দিনে জানাত তাহলে উপজেলা অফিস থেকে তাদের ফরম নেওয়ার সুযোগ ছিল তাউ তারা আসেনি। পরের দিন অভিযোগ দেওয়া আমি তেমন আমলে না নেওয়ার কারনে নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়েছি।