মো. তারেকুর রহমান আজাদ, কক্সবাজার প্রতিনিধি: জেলার টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কে গত মে মাসের নিহতের সংখ্যা সমতা রেখে আহতের সংখ্যা আরো ৩ জন বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৭ জন। গত বুধবার (৪ জুলাই) নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) টেকনাফ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ফায়সাল উদ্দিন খোকা’র পাঠানো তথ্যের মাধ্যমে এসব জানা যায়।
গত ৪ জুন টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী সড়কে অটো রিক্সার ধাক্কায় দুই স্কুল ছাত্রী আহতের মাধ্যমে টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কের জুন মাসের সড়ক দুর্ঘটনার সূচনা হয়। পরে ১৪ জুন হ্নীলার পাশ^বর্তী ইউনিয়ন হোয়াইক্যং এর কাঞ্জারপাড়া এলাকায় মাহিন্দ্রা ও ইজি বাইক (টমটম) এর ধাক্কায় মৌলভী বাজারের মোটরসাইকেল আরোহী গিয়াস উদ্দিনের মৃত্যু ঘটে। ১৮ জুন মেরিনড্রাইভ সড়কে অজ্ঞাতনামা দুইজন মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত হয়। একইদিনে হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কে সিএনজি জীপ সংঘর্ষে বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের সিএনজি চালক মুফিদুল আলম প্রকাশ ধলা মিয়া (৩৯) প্রাণ হারায় সাথে আরো একজন গুরুতর আহত হয়। খারাংখালী বাজারে বাস ও অটো রিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে হ্নীলার শামশুল আলম (৪৮) প্রাণহানি ঘটে। ওই মাসের সর্বশেষ ২৫ জুন মেরিনড্রাইভ সড়কে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর কারণে সুলতান ও মোস্তফা নামের দুজন মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
উল্লেখ্য, গত মে মাসে উক্ত সড়কে ৩ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়। জুন মাসে নিহতের সংখ্যা সমতা ৩ থাকলেও আহতের সংখ্যা ৩ জন বেড়ে হয়েছে ৭ জন। চালকদের অসচেতনতা ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর দায়ে অনেক তাজাপ্রাণ পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যায়। চালকরা সাবধানতা অবলম্বন করে গাড়ি চালালে অনেকের এমন কষ্টকর প্রাণহানি ও পঙ্গুত্ব জীবন নিয়ে বেঁচে থাকতে হতো না বলে যাত্রীদের অভিযোগ। এ ব্যাপারে, ফায়সাল উদ্দিন খোকা বলেন, সচেতনতাই পারে দুর্ঘটনা এড়াতে। অদক্ষ ও প্রশিক্ষণহীন চালকদের কারণে এমন দুর্ঘটনার সৃষ্টি হয়।
এছাড়াও একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না এই স্লোগান চালকদের মাথায় রেখে গাড়ি চালানোর আহ্বান করেন। চালকদের সচেনতায় অনেক জীবন সড়ক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে পারে বলেও তিনি মনে করেন। পরিশেষে অদক্ষ ও প্রশিক্ষনহীন চালকদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করেন।