নিজস্ব প্রতিনিধি : জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন না মঞ্জুর হয়েছে বহুল আলোচিত আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসমাউল হুসাইনের।
রবিবার (২২ মার্চ) বিজ্ঞ আদালতের কাছে আসামীর আইনজীবী চাঁদাবাজির মামলায় জেলে থাকা আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও বহু অপকর্মের মূল হোতা আসমাউল হুসাইনের জামিন প্রার্থনা করলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শেখ মফিজুর রহমান জামিন না মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত রবিবার (১৫ মার্চ) তারিখে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চাঁদাবাজি মামলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আসমাউলের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। এসময় বিজ্ঞ বিচারক বাকিদের জামিন মঞ্জুর করে অন্ত:বর্তীকালীন জামিন প্রদান করেন।
উল্লেখ্য গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর চাঁদাবাজির দায়ে আশাশুনি থানায় মো. জাবের হোসেন বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। তখন আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ও আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আসামীরা জামিন পেলেও বর্তমানে জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান ও ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে তারা আর জামিন পায়নি বাদিপক্ষের আইনজীবী ও বাদির উপস্থিতিতে।
এদিকে পূণরায় আসামী আসমাউল হুসাইন জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন না পাওয়ায় আদালতের সুষ্ঠু বিচারে খুশি মামলার বাদী মো. জাবের হোসেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আসামী জেল হাজতে থাকলেও নিয়মবর্হিভূতভাবে তাকে গঠনতন্ত্র না মেনেই এখনো ছাত্রলীগের সভাপতি পদে বহাল থাকায় অখুশি মামলার বাদী মো. জাবের হোসেন।
তিনি বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে যার জামিন না মঞ্জুর করে জেলে পাঠিয়েছে, তাকে আজ (২২ মার্চ) জেলা ও দায়রা জজ আদালতও জামিন না মঞ্জুর করেছেন। তারপরও কীভাবে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে বহাল থাকে সেটি আমার বোধগম্য নয়। তবে আমি কেন্দ্রীয় নেতাদের এ বিষয়টি জানিয়েও কোনো সুফল পাইনি। তাই আমি আবারো সাংবাদিকদের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নেতাদের এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এড. রবিউল ইসলাম বলেন, আসামী আসমাউল হুসাইনের জামিন না মঞ্জুর করেছেন জজ আদালত।