কেশবপুরের পাঁজিয়া ইউনিয়নে বিধবা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীর ভুয়া কার্ড করে সরকারী টাকা লোপাটের অভিযোগ
আজিজুর রহমান, কেশবপুর প্রতিনিধি।। কেশবপুরে তথ্য গোপন করে বিধবা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীর ভুয়া কার্ড করে দীর্ঘ দিন ধরে সরকারী টাকা উত্তলন করে তা আতœসাতের অভিযোগ পাওয় গেছে। আর এই কার্ড তৈরির পিছনে স্থানীয় ইউপি মেম্বরের হাত রয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে. উপজেলার ৭ নং পাঁজিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড রাজনগর বাঁকাবর্শি গ্রামের ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলাম তার এলাকার বিভিন্ন ব্যাক্তির নামে মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে অর্থের বিনিময়ে বিধবা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী কার্ড করে দীর্ঘ দিন ধরে টাকা উত্তলনের সুযোগ করে দিয়েছেন।
সোমবার সকালে সরজমিনে এলাকা পরিদর্শন করে জানা গেছে, ঐ এলাকার মৃত সবর সরদারের ছেলে আমজেদ সরদার নিজে প্রতি বন্ধী না হয়েও প্রতিবন্দীর কার্ড করে এক বছর যাবত টাকা উত্তলন করে আসছেন। তার কাছে কার্ড দেখতে চাইলে তিনি বলেন তার কার্ড ইউনিয়র পরিষদে আছেন। তারই আপন বোন রাশিদা খাতুন বিবাহ না করে বিধবা ভাতার কার্ড করে টাকা উত্তলন করে আসছে যার বই নং ০৭/৫১,সঞ্চয় হিসাব নং-১০৮৩৪৪১১৮৯৭৯, এদের প্রতিবেশি আফসার সরদারের স্ত্রী আবিরন বিবি জাতীয় পরিচয় প্রত্রে জন্ম তারিখ ১৯৬৯ সালের ৬ই জুন অথচ তার নামে বয়স্ক ভাতার কার্ড তৈরী করে ২০১১সাল হতে ভাতা উত্তলন করে আসছে। অথচ বর্তমান তার বয়স ৫০বছর হয়নি। আবিরন বিবির হিসাব নং সি-৩১৪, একই এলাকার হযরত সরদারের স্ত্রী মকর জান বেগম বিধবা ভাতার কার্ড করেছে। সাংবাদিকদরে উপস্থিতি টের পেয়ে সে তার স্বামিকে নিয়ে প্রতি বেশিদের মাঝে গা ঢাকা দেয়। ফলে তার হিসাব নম্বর নেওয়া সম্ভব হয়নি। এদিকে হযরত সরদারের ছেলে মোঃ শাহীন আলম একজন সিঙ্গাপুর প্রবাসি। তার নামে প্রতিবন্ধীর কার্ড করে নমিনি হিসাবে তার মা দির্ঘদিন টাকা উত্তলন করে আসছেন।
এ ব্যাপারে তার মা সাংবাদিকদের বলেন, ছেলে জন্ম প্রতি বন্ধী ছিল । অপারেশনের পরে পা ভাল হয়ে গেলে সে সিংঙ্গাপুর চলে য্য়া। আমি নমিনী হিসাবে তার প্রতিবন্ধী কার্ডের টাকা উত্তলন করি।এ ঘটনায় ঐ গ্রামের সবুজ হোসেন বাদী হয়ে উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গত ২০ সেপ্টেম্বর -২০ কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। এব্যাপারে এলাকার আব্দূল মান্নান জানান, আমাদের এলাকার বেজাউল মেম্বর বিভিন্ন মানুষের নিকট থেকে টাকা নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্ন প্রকার ভাতার কার্ড তৈরী করে দেয় । অথচ প্রকৃত যারা কার্ড পাওয়ার যোগ্য তাদের কার্ড হচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলাম বলেন, বিধবা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী কার্ডের নামে তিনি কারো নিকট হতে টাকা গ্রহন করেনি। বয়স্কদের কার্ড করার সময় বয়েষের ক্ষেত্রে আগে ৪২ বছরে কার্ড করা যেত এখন সেটা ৬০/৬২ করেছে, আপনারা সমাজ সেবা অফিসের সাথে কথা বলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহান বলেন, এলাকাবাসির পক্ষ থেকে উল্লেখিত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে গত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। যা তদন্তের জন্য সমাজ সেবা অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছি। উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের সত্যতা প্রমান হলে কার্ড বাতিল পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।