গ্রাহকদের কোন কোন তথ্য সংগ্রহ করা হবে আর সেগুলো কিভাবে ব্যবহার করা হবে, সে ব্যাপারে নতুন নীতিমালা তৈরি করছে শাওমি। আপাতত এই নীতিমালার আওতায় শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীরাই পড়বেন। তবে শীঘ্রই এটি চাইনিজ ও ভারতীয় ব্যবহারকারীদের জন্যও প্রযোজ্য হতে পারে।নীতিমালার এই পরিবর্তন ব্যবহারকারীদের বেশ চিন্তিত করেছে।
শাওমি বলেছে, ব্যবহারকারীদের স্বেচ্ছায় আপলোড করা বা অন্যান্য উপায় শাওমির কাছে যেসকল তথ্য পৌঁছাবে, সেগুলো যতদিন প্রয়োজন ততদিন সংরক্ষণে রেখে ব্যবসায়ীক কিংবা অন্যান্য কাজে ব্যবহার করবে তারা। স্বেচ্ছায় আপলোডের পাশাপাশি অন্যান্য উপায় লেখার ফলে ধারণা করা হচ্ছে, ফোনে থাকা যে সকল তথ্য শাওমির ক্লাউডে ব্যাকআপ হিসেবে রাখা হবে, সেগুলোও তারা ব্যবহার করবে।
তথ্য সংগ্রহে তারা কোনো ছাড় দেয়নি। স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ফোন নম্বর, সিমের তথ্য, ব্যবহারকারীর অবস্থান, ফোনের কল লিস্ট, ম্যাসেজ, পরিচয়পত্র, ব্যাংকিং তথ্য, ছবি ও রেকর্ড করা সাউন্ড, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে অ্যাপের মধ্যে দেয়া তথ্যও তারা সংগ্রহ করবে।শাওমি দাবি করেছে, ব্যবহারকারীদের জন্য আরও ছাড়, অফার ও নতুন পণ্যের জন্য গবেষণা করতে তারা এসকল তথ্য কাজে লাগাবে।
এসব তথ্য সরাসরি অন্য কারও কাছে বিক্রি করা হবে না বলেও জানিয়েছে তারা। তবে বিজ্ঞাপনদাতারা চাইলে এসব তথ্য কাজে লাগাতে পারবে বলে তারা জানিয়েছে।এ অবস্থায় ধরে নেয়া যেতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তৈরি শাওমি ফোনগুলোতে থাকা প্রতিটি তথ্যই শাওমি নানাভাবে সংগ্রহ করে কাজে লাগাবে। দেশটিতে শাওমির বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হলেও ফোনের বাজারে এখনো ঢুকতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। তাই ফোন বাদে অন্যান্য ডিভাইসের তথ্য নিতে পারবে শাওমি।
চলতি বছর শাওমি সেখানকার ফোনের বাজার ধরতে পারলেই কেবল ফোন ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে এ নীতিমালা কার্যকর হবে। তবে শাওমির অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীরা এখনই এই নীতিমালার আওতায় পড়বেন।নতুন এ নীতিমালা আগামী ২৫ মে থেকে কার্যকর হবে। এ ব্যাপারে সকল তথ্য এই লিঙ্কে পাওয়া যাবে।