মোঃ জাবের হোসেনঃ আধুনিক সাতক্ষীরার রুপকার, ভোমরা স্থল বন্দরের প্রতিষ্ঠাতা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নির্ভীক সৈনিক, প্রাদেশিক সরকারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য সর্বোপরি সাতক্ষীরার সকল স্তরের মানুষের ভালোবাসার আশ্রয়স্থল ছিলেন আততায়ীর হাতে নিহত শহীদ স ম আলাউদ্দিন।
১৯৯৬ সালের ১৯ জুন রাত প্রায় ১০.৩০টায় সাতক্ষীরার এই গণমানুষের নেতা নিজ পত্রিকা অফিসে আততায়ীর গুলিতে শাহাদাৎ বরণ করেন।তার মৃত্যুর পরে সাতক্ষীরা সহ সমগ্র দেশের অসংখ্য মানুষের হৃদয় ভেঙ্গে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়।
তার মৃত্যুর পরে কন্যা লাইলা পারভীন সেঁজুতির সংগ্রাম শুরু হয়।শোকে পাথর হয়ে যান আলাউদ্দিন পরিবার। কিন্তু রক্ত কি কখনো বৈইমানি করতে পারে? তাই তো বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সেই থেকে পথচলা শুরু লায়লা পারভীন সেঁজুতির।
শহীদ আলাউদ্দিন সাতক্ষীরায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দৈনিক পত্রদূত পত্রিকা,প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জেলা চেম্বার অব কমার্স সহ অসংখ্য শিল্প-কলকারখানা।
বাবার কাছ থেকে শিখেছেন কীভাবে জনগনের জন্য কাজ করতে হয়।শিখেছেন কীভাবে নিজেকে মানবকল্যাণে বিলিয়ে দিতে হয়।শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালি করতে,সাতক্ষীরার নারীদেরকে এগিয়ে নিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সেই থেকে।কখনো বা শিক্ষকের ভূমিকায়,কখনোবা নারী নেত্রী হিসাবে।
গণতন্ত্রের মানষকন্যা, চার চার বারের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে অক্লান্ত ভাবে পরিশ্রম করে চলেছেন প্রতিটি মুহূর্ত। ঠিক তেমনি লাইলা পারভীন সেঁজুতি তার পিতা শহীদ স.ম আলাউদ্দিনের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে, সাম্প্রদায়িক চেতনাবোধের সকল অপশক্তির রাহু গ্রাস থেকে মুক্ত করার জন্য, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং জননেত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অক্লান্তভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি।
কাজ করছেন মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে, মুক্তিযোদ্ধা চেতনা বাস্তবায়নে। বর্তমানে স্বীয় মেধা আর কর্মদক্ষতার গুনে তিনি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব। তিনি সাতক্ষীরা জেলার সকল মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সাথে নিয়ে নিরলসভাবে মিছিলের সম্মুখ ভাগে থেকে সর্বদাই নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন প্রতিটি মুহূর্তে।
শুধু রাজপথে নয়,বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নারী নেত্রী লায়লা পারভীন সেঁজুতিকে নিয়ে তার অসংখ্য ভক্তবৃন্দরা সংরক্ষিত আসনে সেঁজুতিকে চাই বলে প্রচার-প্রচারণা করছেন অনেক আগে থেকেই।নিজ পরিবার, স্বামী-সংসার,কর্মদক্ষতা কোনো দিক থেকেই যেনো নোয়াবার নয় সেঁজুতিকে।
তিনিও পিতার মতোই নিজ কর্মগুনে হয়ে উঠেছেন সকলের কাছে একজন গ্রহণযোগ্য ব্যাক্তি ও রাজনৈতিক নেত্রী। তাই ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে তরুণ সমাজ ও সকল স্তরের মানুষের আকুল আবেদন লায়লা পারভীন সেঁজুতীকে পিতার বুকের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবায়নে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য হিসাবে মনোনীত করে অবহেলিত সাতক্ষীরাকে এগিয়ে নিতে সুযোগ প্রদান করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।