পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘গতকালের অভিযানে নিহত দুজন ছিলেন স্বামী-স্ত্রী। প্রাথমিকভাবে তাদের নাম জানা গেছে, আবু আব্দুল্লাহ আল বাঙাল ও আকলিমা আখতার মনি।’
নরসিংদীর সদর উপজেলার শেখেরচরে ‘গর্ডিয়ান নট’ অভিযানে নিহত আবু আব্দুল্লাহ আল বাঙালি ওরফে গোলাম মোস্তফা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বেজপাড়া গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে। তার স্ত্রী গাজীপুরের শহিদুল ইসলামের মেয়ে ও মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী বলে জানা গেছে।
স্বজন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আবু আব্দুল্লাহ ওরফে মোস্তফা যশোর এমএম কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও সেখানে একটি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগদানকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতো। গত ৮/৯ মাস ধরে আবু আব্দুল্লাহ ওরফে মোস্তফার চলাফেরায় সন্দেহজাগে এলাকাবাসীর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ মাস আগে আবু আব্দুল্লাহ ওরফে মোস্তফা ও আকলিমা আক্তার মনি বিয়ে করেন। মনি ছিলেন মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
পড়াশোনা করায় মনি বাবার বাড়িতেই থাকতেন। অক্টোবর মাসের ১ তারিখে মোস্তফা ঢাকায় শ্বশুরালয়ে গিয়ে ৩ দিন থাকার পর স্ত্রীকে নিয়ে যশোর চলে আসেন। এরপর থেকে তাদের আর খোঁজ ছিল না।
বেজপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ বলেন, গত ৭/৮ মাস ধরেই মোস্তফার চলাফেরা আমরা সন্দেহ করতাম। তাকে অনেকবার নিষেধ করেছি, এই বিপদের পথ থেকে ফিরে আসতে। কিন্তু কথা শোনেনি।
নিহত আকলিমা আক্তার মনির দুলাভাই হাসান আলী টেলিফোনে বলেন, আমরা তাদের নিহত হবার খবরটি নিশ্চিত হয়ে নরসিংদীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইউনুছ আলী জানান, এ ব্যাপারে আমার কাছে তেমন কোন তথ্য নেই।