সাহিদুল এনাম পল্লব, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর দাখিল মাদ্রাসায় গত ২৮ শে জুন সুপার সহ ৪টি পদে নিয়োগের অর্ধকোটি টাকা নিয়োগ বাণিজ্য সহ ব্যাপক দুর্নীতি করে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়োগ বাণিজ্য উক্ত মাদ্রাসার সভাপতি সহ উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও ডিজির প্রতিনিধি জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সভাপতি নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রতি প্রার্থীর নিকট থেকে পদ অনুযায়ী নিন্মে ১০ লক্ষ সহ উপরে ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছে। যাহা সভাপতি ও নিয়োগ বোর্ড ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছে। যারা তাদের চাহিদা মতো টাকা দিতে পারেনি তাদের বিভিন্ন পন্থার কৌশল অবলম্ব করে বাদ দেওয়া হয়েছে।
সরে জমিনে তদন্ত করে দেখা গেছে যে জালাল পুর গ্রামের কাইয়ুম মোল্লার ছেলে আব্দুল্লাহ কে পরিছন্ন কর্মী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আব্দুল্লাহর আবেদন পত্রে জন্ম তারিখ ০১/০১/ ২০০০ ইং দেওয়া আছে। সেই অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নিকট থেকে জন্ম নিবন্ধন সদন সংগ্রহ করে হয়েছে। কিন্ত ২০১৮ সালের মাদরাসা বোর্ড থেকে প্রাপ্ত জুনিয়ার দাখিল পরীক্ষার সনদে জন্ম তারিখ আছে ১৫ ই ডিসেম্বর ২০০৫ সাল। সেই অনুযায়ী আব্দুল্লাহর বয়স হয় বর্তমানে সাড়ে ১৩ বছর।
এলাকাবাসীর দাবী এই নিয়োগে ব্যাপক জালিয়াতি ও অনিয়ম আছে যাহা উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হলে বেরিয়ে আসবে। যেখান থেকে আলেম ওলামার জন্ম সেখানে যদি এই ধরেনর ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ হয় তাহলে দেশে কি ভাবে ভাল আলেমের জন্ম হবে। দুর্নীতিযুক্ত নিয়োগ বাতিলের দাবী জানায় তারা।
জন্ম সনদ প্রসঙ্গে কুশনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান বলেন, আমরা কাউকে জন্ম সনদ দিয়ে হলে তার বয়স প্রমানের জন্য বিদ্যালয়ের প্রতায়ন পত্র অথবা কোন ডাক্তারের প্রত্যায়ন পত্র এবং টিকার কার্ড নিয়ে থাকি। এই ক্ষেত্রে জালাল পুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার ইলিয়াস মাদ্রাসার প্যাডে প্রত্যায়ন পত্র দেওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম সনদ দেওয়া হয়েছে।
জালালপুর দাখিল মাদ্রসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ওবায়দুল হক বল্টু মিয়া বলে যে নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বনিন্ম বয়সের নির্ধারণ নেই। উপজেলা শিক্ষা অফিসার, ডিজির প্রতিনিধি সহ ৫ সদস্য বিশিষ্ট নিয়োগ কমিটি থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে আপনারা শুনতে পারেন যে আমি অনেক টাকা নিয়োগ দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে আপনাদের কে বলেছে? বলে জালাল পুর দাখিল মাদ্রসার সহ সুপারের নাম উল্লেখ করে বলে যে ও আপনাদের এই সকল তথ্য দিয়েছে? আপনারা জেনে রাখেন ও এই মাদ্রসায় চাকুরী করতে পারবে না। ও সুপার পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করেছিল।
কোটচাঁদপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রতন আলী বলেন যে আমরা সার্টিফিকেটে বয়স সঠিক দেখেই নিয়োগ দিয়েছে। যদি কোন ঘুষ লেন দেন হয় তাহা সভাপতি জানতে পারে। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ভাবে হয়েছে। যদি বয়সের সমস্যা থাকে তবে তার এমপিও হবে না। এমপিও না হলে বেতন হবে না। তারপরেও আমি ফাইল আবার দেখব। তবে যার বেতন হবে না তার নিকট থেকে টাকা নিয়ে তাকে নিয়োগ দেখিয়ে কেন প্রতারণা করছেন ? বললে তার কোন সঠিক উত্তর তিনি দিতে পারেনি।