আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: সারাদেশে ন্যায় এবারও কেশবপুরে ৫ দিন ব্যাপী সোমবার থেকে শারদীয় দূর্গোৎসাব শুরু হয়েছে। ঢাকের তালে-তালে মন্দিরে-মন্দিরে দেবী অর্চনা। ভক্তদের আনাগোনায় মুখরিত প্রতিটি পুঁজা মন্দির। তাই প্রতি বছর হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন পেশার সব বয়সী নারী-পুরুষ বর্ণিল সাজে সেজে আনন্দে এই দিনের জন্য অধীর আগ্রহে চেয়ে থাকে।
পুঁজা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তারা দূর্গা মায়ের আশির্বাদ পেতে মন্ডপ থেকে মন্ডপে ঘুরে বেড়ায়। কেশবপুর উপজেলার সবগুলো পূজা মন্ডপে প্রতিমা শিল্পীরা ভক্তদের আনন্দ দিতে দিনরাত পরিশ্রম শেষে দেবীদূর্গার প্রতিমা মূর্তিকে রং তুলির আঁচড়ে আকর্ষনীয় করে তুলেছে। আলোক সজ্জা, প্যান্ডেল ও গেট সৌন্দর্যের কাজ করতে গিয়ে যেন দম ছাড়ার ফুসরত ছিল না আয়োজক কমিটির। দেবী পক্ষের ষষ্টি তিথীতে বোধন তলায় মঙ্গল ঘট স্থাপনের মধ্যদিয়ে শ্রী-শ্রী দূর্গা পুজা শুরু হয়েছে।
শাস্ত্রীয় পন্ডিতরা বলেছেন এ বছর দেবী দূর্গার ঘোটকে আগমন এবং দোলায় গমন হচ্ছে। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের কেশবপুর শাখার সভাপতি শ্যামল সরকার জানান, কেশবপুর পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়নে মোট ৯১ টি পূজা মন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান বলেন, পূজা চলাকালীন সময়ে যাতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোট পরিচালিত হবে। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহিন জানান, উপজেলা ব্যাপী পুলিশের ভ্রাম্যম্যান টিম সর্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করবে।