আজিজুর রহমান / সোহানা ফেরদৌস সুইটি, কেশবপুর: কেশবপুরে পূর্বাংশের ৩ ইউনিয়নের অন্ততঃ ১২ বিলের বদ্ধ পানি থাকায় কৃষকরা প্রথম পর্যায়ে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের পলি অপসারনের পর এবার নিজেদেও অর্থায়ওে পাথরা বুড়ুলি গেটের মুখে সেচ মেশিন বসিয়ে ইরি বোরো আবাদ করার জন্য সেচ দেয়া শুরু করেছেন।
উপজেলার পুর্বাংশের তিন ইউনিয়নের পানি নিষ্কাশনে নির্মিত চুয়াডাঙ্গা ,পাথরা ও বুড়–লি এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্লুইসগেট টি পলি পড়ে ভরাট হয়ে হরিহর নদীর সংযোগ খাল ভরাট হয়ে যায়। যা নিয়ে উপজেলার পাঁজিয়া, মঙ্গলকোট ও সুফলাকটি ইউনিয়নের কৃষকরা বদ্ধ পানি সরাতে না পেরে দুঃশ্চিন্তায় পড়েন। পুর্বাংশের বিভিন্ন বিলের মাছের ঘেরের পানি গেট পেরিয়ে মুল খালে প্রবাহিত হতে না পারায় ইরি বোরো বীজতলা প্রস্তুত করা ও আবাদ করা কঠিন হয়ে পড়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকরা নিজ উদ্যোগে বিঘা প্রতি ১শ টাকা হারে চাঁদা দিয়ে দেশীয় প্রযুক্তির সাহায্যে ও নিজেরা শ্রম দিয়ে সংযোগ খালের পলি অপসারনে উদ্যোগ নিয়েছে।
গত সপ্তাহে উপজেলার পাথরা-বুড়–লি সুইচ গেটের উপর উক্ত বিল এলাকার চারিপাশের কৃষক, সুধীজন, জনপ্রতিনিধি ও মৎস্য ঘের ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি মিটিং হয়। এ মিটিংয়ে পাথরা ও বুড়–লি বিলসহ আশেপাশের বিলে চলতি চৈত্রের ইরি ধান চাষের জন্যে সংশ্লিষ্ট বিল হতে পানি সেচ দিয়ে চাষের উপযোগি করা নিয়ে আলোচনা হয়। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেনের সভাপতিত্বে উপজেলা ঘের কমিটির সাধারন সম্পাদক আব্দুল কাদেরের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন গৌরীঘোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান, সুফলাকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাস্টার আব্দুস সামাদ, সাবেক চেয়ারম্যান মনজুরসহ স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। তারই ধারা বাহিকতায় কৃষকরা সেচ কাজের উদ্যোগ নেন।
পাঁজিয়া গ্রামের কৃষক বাবুর আলী সরদার, বারিক সরদার মুনছুর গাজী, সোহরাব হোসেন ,আব্দুল গফুর মোড়ল, চৈতন্য মন্ডল জানান, এলাকায় ৩০ পৌষের ভিতর বিলের অভ্যন্তরের ঘেরের পনি সেচ দিয়ে দেওয়ার শর্তে মাছের ঘের করা হয়। এখনও পর্যন্ত বিলের পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না হওয়ায় চাষীরা পড়েছেন মহাবিপাকে। অনেকের ডাঙ্গা এলাকায় বীজতলা প্রস্তুত রয়েছে। সে বীজতলার পাতা বড় হয়ে যাচ্ছে। পানি সেচ দিতে না পারায় এবার ইরি-বোরো আবাদ নিয়ে তারা রয়েছেন দুঃশ্চিন্তায়। কৃষকরা জানান, সেচ দিতে বিলম্ব হলে এবার আবাদ হওয়া কষ্টকর।