কেশবপুরে স্বামী স্ত্রীর দ্বন্দ্বঃ স্ত্রী কতৃক শ্বশুর বাড়িতে স্বামীকে মারপিট

18
লাল সবুজের কথা- Lal Sobujer Kotha

আজিজুর রহমান, কেশবপুর থেকে : কেশবপুরে স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীর পারিবারিক বিষয়কে কেন্দ্র করে স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর নগদ ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ও দেড় লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণের গহণা নিয়ে পিতার বাড়িতে চলে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় স্বামী মিজানুর রহমান বাদী হয়ে স্ত্রীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গড়ভাঙ্গা গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দীন গাজীর ছেলে মিজানুর রহমান গাজী একই উপজেলার পাথরঘাটা মনোহরনগর গ্রামের মৃত ফজর আলী সরদারের মেয়ে রাশিদা বেগমকে উভয় পক্ষের সম্মতিতে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ২০০৩ সালে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের পর থেকে মিজানুর রহমান গাজী তার স্ত্রীকে নিয়ে সুখে শান্তিতে সংসার করে আসছিলেন। বিবাহের প্রায় ২ বছর পরে তাদের ঘরে সুরাইয়া ইয়াসমিন শান্তা নামের একটি কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ করেন।

কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ করার পর থেকে তাদের পারিবারিক অশান্তি শুরু হয়। মিজানুর রহমান গাজী সাংবাদিকদের জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটা-কাটির এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আমার স্ত্রী রাশিদা বেগম আমি ব্যবসার কাজে বাড়িতে না থাকার সুযোগ বুঝে সে ঘরে থাকা গরু বিক্রয়ের নগদ ৮০ হাজার টাকা, ৩ ভরি স্বর্ণের অলঙ্কার ও ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গাভি গরু নিয়ে তার পিতার বাড়িতে চলে যায়। এরপর আমি বাড়িতে এসে জানতে পারি আমার স্ত্রী তার পিতার বাড়িতে চলে গেছে।

তাৎক্ষনিকভাবে আমি সন্ধ্যায় আমার মা মনোয়ারা বেগমকে সাথে নিয়ে আমার স্ত্রীকে শ্বশুর বাড়িতে আনতে যায়। শ্বশুর বাড়িতে পৌছানো মাত্রই আমার স্ত্রী রাশিদা বেগম, তার ভাই সাহেব আলী, আছাদ মিলে লাঠি দিয়ে আমাকে বেধড়ক মারপিঠ শুরু করে। মারপিঠের একপর্যায়ে আমার পকেটে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয় তারা।

এ ব্যাপারে রাশেদা বেগমের বক্তব্য নেওয়ার জন্য বারবার ফোন দেওয়া হলেও তার ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এব্যাপারে কেশবপুর থানার এসআই ফজলে রাব্বী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।