আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধিঃ কেশবপুরে শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষরা সৎ ভাইয়ের গর্ভবর্তী স্ত্রীকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আহত ব্যক্তি স্থানীয় চিকিৎসা নিয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে সৎ ভাইয়ের পরিবারকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার পর ঘরে তালা মেরে দেয় প্রতিপক্ষরা। তাদের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র জীবন যাপন করছে সৎ ভাইয়ের পরিবার।
শনিবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে জানাগেছে, উপজেলার কলাগাছী গ্রামের মৃত আহম্মদ তরফদারের ছেলে হাফিজুর রহমান তরফদারের সাথে তার সৎ ভাই আবু বক্কারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব শত্রæতা চলে আসছিল। হাফিজুর রহমান তরফদার সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবু বক্কার আমার গর্ভবর্তী স্ত্রী হীরা খাতুন (৩০) কে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। ওই সময় তারা আমাদেরকে তাড়িয়ে দিয়ে শিক্ষক আব্দুল মালেক তরফদারের নেতৃত্বে ২/৩ জন মিলে বসত ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়। প্রতিপক্ষের ভয়ে ওই দিন থেকে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র জীবন যাপন করছি। মরিয়ম বেগম সাংবাদিকদের জানান, আমার ছেলে প্রতিপক্ষের সৎ ভাই হওয়ায় তার উপর একের পর এক হামলা করে। এর আগেও হাফিজুর রহমান তরফদারকে মারপিট করা হয়েছিল।
এ ব্যাপারে সরাসরি শিক্ষক আব্দুল মালেক তরফদারের নিকট জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমার বড় ভাই আবু বক্কার (৫৪) কে হাফিজুর রহমান তরফদার মারপিট করে গুরুত্বর আহত করে। বর্তমান আমার ভাই আবু বক্কার কেশবপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘরের তালা মারার বিষয় বলেন, হাফিজুর রহমান তরফদার বড় ভাইয়ের গায়ে হাত তোলার কারণে তার ঘরে তালা মেরে দিয়েছি। তাদেরকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়নি।