কেশবপুরে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ

110

আজিজুর রহমান, কেশবপুর প্রতিনিধি : কেশবপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে পাষন্ড স্বামী বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুমুর্ষবস্থায় ঐ জননীকে উদ্ধার করে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মেয়ের পিতা মকবুল দপ্তরী বাদি হয়ে জামাইরে বিরুদ্ধে কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বলে মকবুল দপ্তরী জানান।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে উপজেলার সুজাপুর গ্রামের বারিক মোড়লের ছেলে তোফাজ্জেল মোড়ল(৩২) এর সাথে ৩ বছর পূর্বে একই উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মকবুল দপ্তরীর মেয়ে লাহুমা খাতুন(২৩) এর সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তার পাষন্ড স্বামী যৌতুকের দাবিতে প্রায় সময় তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালাত। কোলের সন্তান ও সংসারের কথা চিন্তা করে লাহুমা স্বামীর সকল অত্যাচার নির্যাতন মুখ বুজে সহ্য করত। গত রবিবার ৬ ডিসেম্বর বিকালে পাষন্ড স্বামী তোফাজ্জেল নতুন করে আবার বায়না ধরে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে। লাহুমা তার তার বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে অশিকার করায় পাষন্ড স্বামী তোফাজ্জেল তার শিশু পুত্রের সামনেই স্ত্রীকে ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রেখে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারপিট করে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। এলাকাবাসী মুমুর্ষবস্থায় ঐ জননীকে উদ্ধার করে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।এ ব্যাপারে তোফাজ্জেলের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান,স্ত্রীর কাছে ভাত চাওয়া হয়,সে পরে ভাত না দেওয়া তাকে মারপিট করা হয়েছে।