আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: কেশবপুরে মেয়ের ঘর ভেঙ্গে দিয়েছে এক মা। জামাতার সাথে অবৈধ সম্পর্কের বাধ সাধায় মা তাকে ঘর করতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। বৃহষ্পতিবার দুপুরে গ্রামবাসিকে সাথে নিয়ে কেশবপুর প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে এ সব কথা তুলে ধরে মুক্তা খাতুন। এর পুর্বে সকালে উপজেলার মনোহরনগর গ্রামের নজরুল ইসলাম খাঁর কন্যা মুক্তা খাতুন (১৬) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি অভিযোগ দায়ের করে সুবিচার চেয়ে আবেদন করে। এদিকে মুক্তা খাতুনের হত্যার হুমকির ঘটনায় শত শত নারী পুরুষ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
অভিযোগে মুক্তা খাতুন উল্লেখ করে যে, তাকে বাল্য বিবাহ দেয়াসহ নির্যাতন ও হত্যার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ২০১৬ সালে ১৫ বছর বয়সে বিবাহে অসন্মতি থাকা সত্বেও মনোহরনগর গ্রামের খোদাবক্স সরদারের ছেলে কামরুল সরদারের সাথে জোরপুর্বক বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর তাকে রেখে বিদেশ চলে যায় স্বামী কামরুল সরদার। বিদেশ থেকে স্বামী তার সাথে কথা না বলে শ্বাশুড়ি আকলিমা বেগম চম্পার সাথে বিভিন্ন সময়ে অবৈধ আলাপ করতে থাকে। এ কথা শুনে ফেলায় মা চম্পা মুক্তা খাতুনকে মারপিট করতে থাকে এক পর্যায়ে যশোরে মামার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সেখানেও মারপিট ও তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করতে থাকে ।
২ বছর পর স্বামী কামরুল বাড়ি ফিরে এসে আমাকে সব মুখ বুঝে সহ্য করার জন্য চাপ সৃষ্টি ও করতে থাকে। এ খবর পেয়ে মুক্তার পিতা ও চাচাতো ভাইয়েরা তাকে স্বামীর বাড়ি থেকে নিয়ে আসে। এর পর মামার বাড়ি থেকে লোকজন এনে মুক্তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে মা চম্পা বেগম। এ ঘটনা এলাকার মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা জানতে পেরে গত ২২ ও ২৪ অক্টোবর স্বামী কামরুল ও মা চম্পা বেগমকে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকলেও তারা আসেনি। বরং ষড়যন্ত্র মূলক মামলা ও প্রাণ নাশের হুমকী দিচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দেয়া অভিযোগে পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ঘটনাটি সত্য ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জোর সুপারিশ করেছেন। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সূত্র অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এব্যাপারে কামরুল সরদারের মুঠোফোনে বক্তব্য নেওয়ার জন্য বার বার ফোন দেওয়া হলেও তার ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।