আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: কেশবপুরে মাদক সেবী পাষন্ড স্বামীর পরকীয়া প্রেম করে বিয়ে করায় ও যৌতুকের দাবীতে ২ সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ওই নির্যাতিত ২ সন্তানের জননীকে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বিউটি খাতুন বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেছে।
উপজেলার বেলকাটি গ্রামের আনার মোল্যার মেয়ে ২ সন্তানের জননী বিউটি খাতুন (২৮) সাংবাদিকদের জানান, ২০০৪ সালে একই গ্রামের মৃত বেলাত মোড়লের ছেলে মশিয়ার মোড়লের (৪০) সঙ্গে আমার ইসলামী শরিয়াত মোতাবেক উভয় পরিবারের সম্মতিতে ৬০ হাজার টাকা দেন মোহরে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের সময় স্বামীকে নগদ ৬০ হাজার টাকা সহ সাংসারিক প্রায় দেড় লক্ষাধীক টাকার মালামাল দেওয়া হয়। বিয়ের পর থেকে চলে আসে আমার উপর বিভিন্ন কায়দায় অমানুষিক নির্যাতন। এর পর আমার মাদক সেবী পাষন্ড স্বামী মশিয়ার মোড়ল একই গ্রামের আজিজ মোড়লের মেয়ে মিতা খাতুনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গোড়ে তোলে।
গত দেড় মাস আগে মিতাকে বিয়ে করে বাড়ি নিয়ে আসেন আমার স্বামী। এর পর থেকে আবারও নেমে আসে আমার উপর নির্যাতনের মাত্র। মাদক সেবনের প্রতিবাদ করায় রবিবার রাত ১২ টাকার দিকে আমার স্বামী আমাকে ঘরের ভেতর আটকিয়ে রেখে বেদম মারপিট করে এক প্রকার হত্যার চেষ্টা চালায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করার প্রস্তুতি চলছিল বলে বিউটি খাতুন জানান।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে মশিয়ার মোড়লের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, বিয়ের কথা স্বীকার করে বলেন আমার বড় স্ত্রী বিউটি খাতুন আমাকে প্রায় সময় মারপিট করে থাকে। আমি কোন মাদক সেবন করিনা।