বিচারের দাবিতে রাস্তার
উপর কাঠের গুড়ি ফেলে অবরুদ্ধ বাসের ড্রাইভার ও হেলপার গাঢাকা
আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি:
কেশবপুরে যশোর-চুকনগর সড়কে মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুতে স্বজনদের কান্নার আহাজারীতে এলাকার বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। এ দূর্ঘটনার এলাকাবাসী বিচারের দাবিতে রাস্তার উপর কাঠের গুড়ি ফেলে প্রায় ২ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে সড়কটি। দূর্ঘটনা কবলিত বাসটি ফেলে ড্রাইভার ও হেলপার পালিয়ে যায়। দ্রুত মুক্তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগে তার মৃত্যু ঘটে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানূর রহমান, থানা তদন্ত ওসি শাহাজাহান আহম্মেদ, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আলা, ইউপি সদস্য গৌতম কুমার রায়, সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কবীর হোসেন।
শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার আলতাপোল গ্রামের মুক্তার আলী সরদারের মেয়ে মুক্তা (৬) মানিকপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থী। বিদ্যালয় ছুটির পর মুক্তা বাড়িতে যায় এরপর তার পিতার কাছ থেকে খাবার কিনার জন্য টাকা নিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় চুকনগর থেকে ছেড়ে আসা আলতাপোল চারের মাথা নামক স্থানে বেপরোয়া গতির বাস তাকে চাপা দিলে চাকার সাথে পিষ্ট হলে একটি পা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার তদন্ত ওসি শাহাজাহান আহম্মেদ বলেন, দূর্ঘটনা কবলিত (সাতক্ষীরা জ- ১১-০০১০) বাসটি হাইওয়ে পুলিশ জব্দ করেছে। এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, শিশু ছাত্রী মুক্তাকে মূমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসারত অবস্থায় জরুরী বিভাগে তার মৃত্য হয়।
এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানূর রহমান বলেন, স্কুল ছাত্রী মুক্তার মৃত্যুর ঘটনায় এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করলে তাদের দাবী মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে তারা অবরোধ তুলে নেয়। নিহত ছাত্রী মুক্তার পরিবারকে সরকারি তহবিল থেকে ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এবং অসহায় পরিবারে পাশে থাকার জন্য বাস মালিক সমিতি ও পরিবহন শ্রমিকদের বলা হয়েছে।