আজিজুর রহমান, কেশবপুর প্রতিনিধি : মেডিকেল কলেজে পড়াশুনা না করেই ডাক্তার পরিচয় দিয়ে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নাকের ডগায় ঔষধের দোকানে দীর্ঘদিন ধরে শিশু বিশেষজ্ঞ সেজে রোগি দেখার অভিযোগে ফার্মাসিস্ট রেজাউল ইসলাম মিঠুকে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এম এম আরাফাত হোসেন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়াই তাকে এই কারাদন্ড প্রদান করেন।ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানা গেছে , কেশবপুর শহরের হাসপাতাল সড়কে কোন মেডিকেলে পড়াশোনা না করেই নামের আগে ডাক্তার লিখে দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন রেজাউল ইসলাম মিঠু নামে কথিত ওই ডাক্তার।
বিএমডিসির রেজিষ্ট্রেশন না থাকলেও রেজাউল ইসলাম মিঠু প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চেম্বার করছেন চিংড়া বাজারের ইসলাম ফার্মেসিতে ও বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চেম্বার করছেন হাসপাতাল মোড়ের সোহান ফার্মেসিতে। মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ এর ১২৫ পৃষ্ঠায় বর্ণিত ২৯ নম্বর আইন মোতাবেক নূন্যতম এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রি প্রাপ্তরা ছাড়া অন্য কেউ নামের আগে ডাক্তার পদবী ব্যবহার করতে পারবে না। কিন্তু রেজাউল ইসলাম মিঠু রোগীর ব্যবস্থাপত্রে নিজের নামের আগে ডাক্তার ব্যবহার করছেন। ডিগ্রি লিখছেন ডিপ্লোমা মেডিকেল ফ্যাকালিটি ( ডি.এম.এফ)ও (ফার্মাসিস্ট)। সেইসাথে নারী, পুরুষ ও শিশু রোগের জটিল চিকিৎসা দিচ্ছেন।
রোগী দেখতে ফি নিচ্ছেন একশ’ টাকা থেকে ২শ টাকা এমনকী, রোগী দেখার পর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিচ্ছেন পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করলে চিকিৎসা দেওয়া যাবে না বলে রোগীদের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন টেস্ট স্লিপ সেখান থেকেও হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাক। তিনি একজন ফার্মাসিস্ট হয়ে শিশু বিশেষজ্ঞ সেজে প্রতিদিন রোগীদের সাথে প্রতারনা করে চলেছেন। এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগের।