আজিজুর রহমান, কেশবপুর(যশোর)প্রতিনিধি:
কেশবপুরে সুফলাকাটি ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর ও সারুটিয়া গ্রামের শত শত নারী পুরুষ ভোট কেন্দ্র স্থানান্তরের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে বিক্ষোভ করেছে। তাঁরা খসড়া ভোট কেন্দ্র বাতিল করে পূর্বের কেন্দ্র বহাল রাখতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাচন অফিসের সামনে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসি।
উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর ও সারুটিয়া গ্রামবাসী জানান, তাদেরকে না জানিয়ে আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র সুফলাকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিবর্তে তাদের জন্য সারুটিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় স্থানান্তর করার খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। খসড়া কেন্দ্রটি পরিপূর্ণ ভাবে ভোট কেন্দ্র করা হলে এলাকার অধিকাংশ লোকের ভোট প্রদান করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে বলে ভোটাররা আশংকা প্রকাশ করেছেন।
ফলে পূর্বের কেন্দ্র সুফলাকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বহাল রাখার দাবি করেন। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সুফলাকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কৃষ্ণনগর, সারুটিয়া, সুফলাকাটি, ডহুরী ও কাঁকবাঁধাল গ্রামের ভোটাররা ভোট প্রদান করে। ওই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৪৫১ জন। কৃষ্ণনগর ও সারুটিয়া গ্রামের ভোটারদের জন্য সারুটিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় খসড়া ভোট কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার খসড়া ভোট কেন্দ্রের উপর শোনানীর দিন ধার্য ছিল। সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার হুমায়ূন কবির এলাকার ভোটারদের শোনানী গ্রহণ করেন। উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. বজলুর রশিদ বলেন, স্থানীয় ভাবে কৃষ্ণনগর ও সারুটিয়া গ্রামের ১ হাজার ৭৯৫ জন ভোটারের জন্য সারুটিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসা খসড়া ভোট কেন্দ্র প্রকাশ করা হয়। ওই কেন্দ্র নিয়ে বৃহস্পতিবার শোনানীর দিন ছিল। কৃষ্ণনগর ও সারুটিয়া গ্রামের ভোটাররা খসড়া ভোট কেন্দ্র বাতিল করে পূর্বের কেন্দ্র বহাল রাখার দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানূর রহমান বলেন, ওই দুই গ্রামের মানুষদের ভুল বুঝিয়ে দ্বিধা বিভক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তাদের ভোট প্রদানের সুবিধার্থে সারুটিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় ভোট কেন্দ্র করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।