আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: কেশবপুরে বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা হামলা চালিয়ে মহিলাসহ ৫ জনকে পিটিয়ে গুরুত্ব আহত করেছে। এর মধ্যে ৪ জনকে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকী ১ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের বাবর আলী মোড়লের ছেলে নাইমূল ইসলাম (২২) সাংবাদিকদের জানান, একই গ্রামের ময়েজ মোড়লের ছেলে মাসুদ রানা আমার কাছে ফল বাকী চাই। বাকী না দেওয়ায় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে বুধবার দুপুরে লাঠিসোটা দিয়ে মাসুদ রানা আমার উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে গুরুত্বর আহত করে।
এ ব্যাপারে ময়েজ মোড়ল বলেন, নাইমূল ইসলাম আমার ছেলেকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা এক দিনমুজুরিকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করেছে। উপজেলার বিদ্যানন্দকাটি গ্রামের রয়েজ উদ্দীন সরদারের ছেলে অজয় সরদার (৩০) সাংবাদিকদের জানান, একই গ্রামের হাতেম খার ছেলে হায়হান খা ও মিজানুর রহমানের ছেলে টুকু মোড়ল বুধবার বিকেলে ভ্যানের ভাড়া চাওয়ায় তারা আমার উপর হামলা করে। অন্যদিকে ক্রয়কৃত সম্পত্তি দলিল করে না দেওয়ায় প্রতিপক্ষরা হামলা চালিয়ে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করেছে।
উপজেলার সাবদিয়া গ্রামের মৃত আদিল সরদারের ছেলে মাসুদের নিকট থেকে ২০১৪ সালে প্রতাপপুর গ্রামের বদর উদ্দিন সরদারের ছেলে তরিকুল ইসলাম আত্মীয়তার সুবাদে মৌখিক চুক্তিতে ২ শতক জমি ক্রয় করে। প্রবাসী তরিকুল ইসলামের স্ত্রী খাদিজা খাতুন (২৬) সাংবাদিকদের জানান, বুধবার সকালে মাসুদ সরদারের নেতৃত্বে সালেহা বেগম, বিউটি খাতুন ও রোজিনা খাতুন মিলে আমার বসত বাড়িতে প্রকাশ্যে ঢুকে বাঁশের লাঠি লোহার রড দিয়ে হামলা চালিয়ে আমাকে জখম করার পর গলায় উড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায় প্রতিপক্ষরা।
এ ঘটনায় খাদিজা খাতুন বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। উপজেলার চাঁদড়া গ্রামের মৃত হাসেম দফাদারের ছেলে এনামূল দফাদার (৩২) কে পিটাল প্রতিপক্ষরা। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ হয়নি বলে আহতরা জানান।