আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: কেশবপুর উপজেলার ফতেপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাউনির টিন সাম্প্রতিক ঘূর্ণি ঝড়ে উড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের পাশের একটি ঈদগাহ ময়দানে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে হচ্ছে। স্কুলে কোন সরকারী ভবন না থাকায় বৃষ্টি এলেই পাশের বাড়ি গুলোতে দৌড়ে শিক্ষক সহ ছাত্র/ছাত্রীরা আশ্রয় নেয়। বৃষ্টি থামলে তারা আবার স্কুলে ফিরে আসছে। অনেকেই আবার একেবারে বাড়ি চলে যায়, আর ফিরে আসছেনা। এ ভাবেই চলছে ৯৮ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ফতেপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিদিন কার ক্লাস।
সরজমিনে জানা গেছে,২০০১সালে বহু বাধা বিপত্তি পেরিয়ে ফতেপুর গ্রামের সমাজ সেবক ওয়াজেদ আলী মোল্যা, মতলেব খাঁ, কওছার মোল্যা, ইব্রাহিম গাজী, দাউত মোড়ল, নূর ইসলাম সহ আরো কয়েকজনের প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠে ফতেপুর প্রাইমারি স্কুলটি। প্রথমে চাচের বেড়া, টালির ছাউনি থাকলেও পরে ইটের ঘাথুনি টিনের ছাউনির একটি অফিস রুম ও তিনটি ক্লাস রুম তৈরি করা হয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ ও স্থানীয়ভাবে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের অর্থায়নে। সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ে অফিসরুমসহ ৪টি রুমের ছাউনির টিন উড়ে যাওয়ায় ক্লাস রুমে পাঠ দান একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে স্কুলের পূর্ব পাশের চিংড়া-কেশবপুর মেইন সড়কের পাশে ফতেপুর ঈদগাহ ময়দানে খোলা আকাশের নিচে চলছে ফতেপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম।
অফিস সুত্র জানায়,চলতি বছরের ১৮ মার্চ শেষ ও তৃতীয় ধাপে বাংলাদেশের অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ফতেপুর প্রাইমারি সরকারি প্রাইমারি স্কুল হিসেবে গেজেটে প্রকাশের মাধ্যমে স্বীকৃতি পেলেও এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক মাহমুদা নাসরিন, ফরিদা খাতুন ও রুবিয়া খাতুন উপজেলা শিক্ষা অফিস ও উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের জটিলতার কারনে এখন ও বেতনের মুখ দেখতে পাননি। এ প্রতিষ্ঠানে ২০১১ সালের ৮ ডিসেম্বর সহকারী শিক্ষক হিসেবে আবু জাহিদ যোগদান করলেও উপজেলা ও জেলা অফিস থেকে নাম গেলে ও খসড়া ও চুড়ান্ত গেজেটে নাম না থাকায় বেতন আসছে না তার। তবে সংশোধনীর চেষ্টা চলছে বলে জানান , প্রধান শিক্ষক সুজায়েত আলী । সরকারী স্বীকৃতি প্রাপ্তির পর থেকেই শিক্ষকরা একটি ভবন নির্মাণের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করলেও অদ্যবধি ভবন নির্মাণ হয়নি। ফলে ইদগাহ ময়দানে খোলা আকাশের নীচে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করাতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষকরা। এলাকাবাসী অবিলম্বে একটি ভবন নির্মাণ করার জন্য উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আকবর হোসেন বলেন, ফতেপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নতুন করে সরকারী করণ হয়েছে। নতুন ভবনের জন্য তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মান করা হবে। সে লক্ষে সকল কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।