কেশবপুরে প্রতাপপুর নিভারাণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ম্যানেজিং কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ

31

আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি:  কেশবপুর উপজেলার প্রতাপপুর নিভারাণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটি গঠনের নামে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তিনি বিগত ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশন খাতাসহ নির্বাচন প্রক্রিয়ার যাবতীয় তথ্যাদি প্রতিষ্ঠান থেকে সরিয়ে ফেলে নির্বাচনী তফশীল ঘোষণা ছাড়াই এডহক কমিটি গঠন করেছেন। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, প্রতাপপুর নিভারাণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ চলতি বছরের ১০ জানুয়ারী শেষ হয়। এরপর থেকে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র রায় ম্যানেজিং কমিটি গঠনের নামে তালবাহানা করতে থাকেন। এ সময় এলাকাবাসি নির্বাচনী তফশীল ঘোষণার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করলে প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ করা হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ওই প্রধান শিক্ষক তফশীল ঘোষণা না করেই নজরুল ইসলাম গাজীকে সভাপতি করে ৬ মাসের জন্যে একটি এডহক কমিটি গঠন করেন। যা গত ১৮ মার্চ অনুমোদন পায়। গত ৩ জুলাই এ কমিটির মেয়াদ ১০৫ দিন অতিবাহিত হতে চললেও এখনও খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। ফলে নির্ধারিত সময়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মতিয়ার রহমান জানান, ওই প্রধান শিক্ষক নিয়মিত কমিটি গঠন করবে না বলে ষড়যন্ত্র করে প্রতিষ্ঠান থেকে বিগত ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশন খাতাসহ নির্বাচন প্রক্রিয়ার যাবতীয় তথ্যাদি সরিয়ে ফেলে হারিয়ে গেছে বলে অপপ্রচার চালাতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি নির্বাচনী তফশীল ঘোষণা ছাড়াই নিয়মবহির্ভূতভাবে এডহক কমিটি গঠন করেন। সময়মত কমিটি গঠন না হলে এলাকাবাসি মানববন্ধনের মত কঠোর কর্মসূচীর ঘোষণা দিয়েছেন।

ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি গাজী গোলাম সরোয়ার অভিযোগ করে বলেন, বিধিমোতাবেক নির্বাচনের ৮০ দিন পূর্বে খসড়া ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে শ্রণিকক্ষে পাঠ করে শোনানোসহ সকলের অবগতির জন্যে নোটিশ বোর্ডে টানানোর বিধান রয়েছে। এ কমিটির মেয়াদ আর মাত্র ৭৫ দিন বাকি রয়েছে। অথচ তিনি সময় ক্ষেপণ করে আজও খসড়া ভোটার তালিকা প্রণয়ন করেননি। ফলে ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র রায় বলেন, প্রতিষ্ঠান থেকে বিগত নির্বাচনের যাবতীয় তথ্যাদি হারিয়ে গেছে। এ ঘটনায় তিনি ২০১৭ সালের নভেম্বরে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। তবে নানাবিধ ঝামেলার কারণে এখনও খসড়া ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হয়নি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, কমিটি গঠনে আমার কোন হাত নেই। আমি এর পজিটিভ দিকগুলো জনগণকে বোঝাতে পারি। তবে প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগের পরও কেন তফশীল ঘোষণা করা হয়নি তা তিনি এড়িয়ে যান।