কেশবপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসী হামলা মহিলাসহ ৪ জন রক্তাক্ত জখম প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা লুট থানায় মামলা

9

আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি:  কেশবপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে মহিলাসহ ৪ জন কে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা লুট করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জখম ব্যক্তিদের মধ্যে কবীর হোসেন (২৮) কে প্রথমে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছিল। বাকীরা স্থানীয় চিকিৎসা নিয়েছিল। এ ঘটনায় খবির গাজী বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২/৩ জনের বিরুদ্ধে কেশবপুর থানায় মামলা দায়ের করেছে। যার মামলার নং- ০১, তারিখ ০১/০৭/২০১৭। এ ঘটনায় থানা পুলিশ ১ জনকে আটক করেছে।

মামলা সূত্রে ও বাদী খবির গাজী সাংবাদিকদের জানান, উপজেরার ব্রহ্মকাটী গ্রামের আব্দুল হাই এর ছেলে আমার শ্যালক হাসান আলী (১৮) ২৬ জুন রাত ৯ টার দিকে আসামীদের বাড়ির পাশে রাস্তায় পেয়ে পথরোধ করে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করে। এসময় তার কাছে থাকা ১৭ হাজার ৫০০ টাকা ৪ হাজার টাকা মূলে একটি ট্াচ মোবাইল ফোন জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়। ওই সময় আমার শ্যালক চিৎকার দিতে থাকলে আমার বোন সুমনা খাতুন (২৫) তাকে উদ্ধার করতে আসলে তাকেও মারপিট করা হয়। ওই সময় তাদের চিৎকারে ও সংবাদ শুনে আমিসহ আমার ছোটভাই কবীর হোসেন (২৬) ঘটনা স্থলে এসে টর্চের আলোয় আসামীদের চিনতে পেরে শ্যালকসহ বোনদের উদ্ধার করতে গেলে আসামীরা আমাদেরকেও এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করে। এ সময় একই গ্রামের নূর ইসলাম খার ছেলে রায়হান (২২), রিপন হোসেন (২৬), মৃত নূরু খার ছেলে দীন মোহাম্মদ (৪৫), ওয়াজেদ আলীর ছেলে রিয়াজ হোসেন (২২) ও দীন মোহাম্মদের স্ত্রী রওশনারা বেগম (৪০) সহ ২/৩ জন মিলে তাদের হাতে থাকা দা, লোহার রড, চাপাতী দিয়ে আমার ভাইকে কুপিয়ে খুন করার চেষ্টা করে।

এরপর আসামীরা আমার প্যান্টের পকেটে থাকা নগত ২৫ হাজার টাকা জোর পূর্বক বের করে নেয়ার পর আমার ছোট ভাই কবীর হোসেনর জমি বিক্রির প্যান্টের পকেটে থাকা নগত ৭০ হাজার টাকা জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়। খবির গাজী, কবীর হোসেন, হাসান আলী, সুমনা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, আসামীরা চোর, ছিনতাইকারী, দূর্দান্ত ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক হওয়ায় আমাদের উপর এই হামলা চালিয়েছে। আমরা দ্রæত বাকী আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে ন্যায় বিচার করিবার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।