আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: কেশবপুরে এক যুবকের ব্যাগ চেক করায় পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় কনস্টেবল জাহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় সাইদুল, ফারুক ও মিজানসহ অজ্ঞাত ৮/৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। যার নং-২৬, তাং-২৮-০৭-১৮। তবে এ পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ২৮ জুলাই কেশবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে নৌকা মার্কার প্রচারের লক্ষে মটর সাইকেল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রাটি পাঁজিয়া, সুফলাকাটি, গৌরিঘোনা,মঙ্গলকোট, বিদ্যানন্দকাটি ঘুরে সাগরদাঁড়ি বাজারে পৌছলে উৎসুক জনতা রাস্তার দুইধারে দাড়িয়ে থাকেন। শোভাযাত্রাকে ঘিরে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত চিংড়া পুলিশ ফাড়ির কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম ও নুরুজ্জামান সাগরদাঁড়ি বাজারে সন্দেজনক ঘোরাঘুরির সময় মিজান নামে এক ব্যক্তির ব্যাগ চেক করেন। ওই সময় মিজানের সাথে থাকা সাইদুল ও ফারুকের সাথে পুলিশের কথাকাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে দায়িত্বরত কনস্টেবল জহিরুল ইসলামের উপর চড়াও হয় বলে পুলিশ জানায়। এঘটনায় কনস্টেবল জাহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় সাইদুল, ফারুক ও মিজানসহ অজ্ঞাত ৮/৯ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। যার নং-২৬, তাং-২৮-০৭-১৮।
অভিযুক্ত সাইদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, পুলিশের উপর হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি। আমার চাচাতো ভাই মিজানের ব্যাগ চেক করার নামে পুলিশ তাকে হেনস্থা করেছে। খরর পেয়ে আমরা শুধু ঘটনাটি জানতে গেছিলাম। এ ব্যাপারে চিংড়া ফাড়ির টু আইসি সহকারী উপপরিদর্শক বাদশা শেখ জানান, ঘটনার দিন আমি সাগরদাঁড়ি বাজারে দায়িত্ব পালন করছিলাম। মিজান নামে এক ব্যক্তির ঘোরাঘুরি সন্দেহজনক হওয়ায় তার ব্যাগ চেক করা হয়েছে। পরবর্তীতের তারা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের উপর হামলা করেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কেশবপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক মাহফুজুর রহমান বলেন, সরকারী কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে সাইদুল, ফারুক ও মিলনসহ অজ্ঞাতনামা ৮/৯ জনের নামে কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এব্যাপারে কেশবপুর থানার ওসি তদন্ত শাহজাহান আহমেদ জানান, সরকারী কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। আসামীদের আটকে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।