আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: কেশবপুরে পুকুর থেকে মাছ মারাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা হামলা চালিয়ে প্রতিবন্ধীসহ ৫ জনকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করার পর বাড়ি ঘর ভাংচুর নগদ টাকা ও স্বর্ণের অলঙ্কার লুট করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এর মধ্যে ২ জনকে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা স্থানীয় চিকিৎসা নিয়েছে। উপজেলার চাঁদড়া গ্রামের মৃত এরামত আলী গাজীর ছেলে আহত বাবর আলী গাজী (৫০) সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার আমার বাড়িতে আত্মীয় আসায় আমি আমাদের যৌথ মালিকানাধীন পুকুরে মাছ ধরি। ওই মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার ভাই নজরুল ইসলাম গাজী তার ছেলে সাদ্দাম গাজী ভাগ্নে ফারুক গাজী মিলে লাঠিসোটা দিয়ে মঙ্গল বার সন্ধ্যায় আমার পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে আমার স্ত্রী রওশনারা বেগম (৩৫), ছেলে একরামূল (১৭), প্রতিবন্ধী বোন শিউলী খাতুন (২৮) ও মিঠু (২৪) কে মারপিট করে গুরুত্ব আহত করে।
এ সময় তারা ঘর বাড়ি ভেঙ্গে ঘরে থাকা নগত টাকা ও স্বর্ণের অলংকার জোর পূর্বক লুট করে নিয়ে আমাদের তাড়িয়ে দেয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ হয়নি বলে আহতরা জানান। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে নজরুল ইসলাম গাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমার ভাই ভাবী ও ভাইপো মিলে পুকুর থেকে মাছ চুরি করেন। আমি প্রতিবাদ করায় তারা মিলে আমাকে মারপিট করে। আমি ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে মারপিট করি। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের জানান, মারপিটের ঘটনায় বাবুর আলীর লোক জন আমার নিকট আসছিল।