কেশবপুরে পাষন্ড স্বামীর নির্যাতনে শিক্ষিকা বাড়ি ছাড়া

9

আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি:  কেশবপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে পাষন্ড স্বামী বলে অভিযোগ উঠেছে। পাষন্ড স্বামীর ভয়ে তার বাড়ি ছেড়ে আহত শিক্ষিকা বর্তমানে অভয়নগর উপজেলায় পিতার বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার বারানী গ্রামের তোফাজ্জেল গাজীর মেয়ে রুমা আক্তারের (২৯) সঙ্গে ২০০৭ সালে ১৪ মার্চ কেশবপুর উপজেলার চুয়াডাঙ্গা গ্রামের আমজার হোসেন বিশ্বাসের ছেলে হাদীউজ্জামান জুয়েলের (৩৮) সাথে ইসলামী শরিয়াত মোতাবেক উভয় পরিবারের সম্মতিতে ৬০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিবাহ সম্পন্ন হয়।

ওই সময় লক্ষার্ধীক টাকা সংসারিক বিভিন্ন মালামাল স্বামীকে দেওয়া হয়। রুমা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, বিয়ের পর থেকে আমার উপর বিভিন্ন ভাবে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করত পাষন্ড স্বামী। এ ভাবে থাকাবস্থায় ২০০৯ সালে ওই সালেই তাদের ঔরষে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। একই সালে চুয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হইয়া যোগদান করেন। বেতন উঠানোর জন্য ওই সময় সরল বিশ্বাসে স্বামীকে সকল চেক বইয়ের পাতায় স্বাক্ষর দিই। সেই সুবাদে চেকের পাতা শেষ হলে আমাকে নিয়ে ব্যাংক থেকে নতুন চেক বই উঠায়ে শ্বশুর ও স্বামী একত্রিত হয়ে নির্যানত করে আবারও জোর পূর্বক চেক বইয়ের পাতায় স্বাক্ষর নিয়ে নেয়। এই ভাবেই সেই থেকে প্রতি মাসে বেতন উত্তোলন করে অদ্যাবধি কোন টাকা আমার নিকট দেয় নাই। শুধুমাত্র ছেলের মুখের দিক চেয়ে আমি স্বামী ও শ্বশুরের নিকট অনুরোধ করে প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা চেয়ে নিয়ে ছেলের পিছনে ব্যয় করি। মিলে আমার চাকুরীর সকল টাকা আত্মসাৎ করেছে। সর্বশেষ গত ২৮ জুন সকালে আবারও আমাকে মারপিট করার কারণে আমি পিতার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। আমি সম্মানের সাথে সংসার করতে পারি সে জন্য উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ ব্যাপারে শিক্ষিকার স্বামী হাদীউজ্জামান জুয়েলের নিকট সরাসরী জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ও পরিবারের বিরুদ্ধে যে, অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। আমি আমার স্ত্রীকে মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়নি। সে নিজেই চলে গিয়ে আমার মানসম্মান ক্ষুন্ন করতে মিথ্যা অপপ্রচার ছড়িয়ে বেড়াছে। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে পাঁজিয়া ক্লাস্টারে দায়িত্বে নিয়োজিত সহকারী শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামান বলেন, সহকারী শিক্ষিকা রুমা আক্তার আবেদনে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে মেডিকেল দিয়ে ২১ দিনে ছুটি নিয়েছেন।