আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: কেশবপুরে পাওনা টাকা চাওয়ায় এক ভাটা শ্রমিক কে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ গাছে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে এলাকায় প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে হত্যাকারীরা। এ ঘটনায় ডুমুরিয়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছিল। ময়না তদন্ত শেষে মুনসুর আলীর লাশ পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করাছিল। মামলা তুলে নিতে বাদিকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিচ্ছে হত্যাকারীরা।
এদিকে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আজিজুর আজিজার বাদী হয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে খুলনা “খ”অঞ্চল বিজ্ঞ সিনয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্টেট এর আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৩০২/৩৪ ধারা দন্ডবিধি। মামলার সূত্রে জানা গেছে উপজেলার শিকারপুর গ্রামের আজিজুর আজিজারের ছেলে মুনসুর আলী মোড়ল (৩৫) কে ডুমুরিয়া উপজেলার মির্জাপুর খড়িয়া প্রিন্স ইট ভাটায় শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন।
আজিজুর আজিজার সাংবাদিকদের জানান আমার ছেলে মুনসুর আলী উপজেলার দেউলি গ্রামের মজিদ মোড়লের ছেলে আব্দুল হান্নান ও বরনডালি মিরপাড়া গ্রামের মৃত্য ইলাহী মোড়লের ছেলে আসাদ মোড়ল তার ভাই রেজাউল মোড়ল আমার ছেলেকে ভাটায় শ্রমিক হিসাবে কাজ করার জন্য ঠিক করেন। সেই হিসাবে আব্দুল হান্নান,আসাদ,তার ভাই রেজাউল মোড়লের সাথে প্রিন্স ইট ভাটায় শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন। কাজের শ্রমিক হিসাবে প্রায় ২৫ হাজার টাকা পাওনা ছিল তাদের কাছে। এই টাকা চাওয়ায় আমার ছেলেকে ২৯ এপ্রিল রাত ৭ টার দিকে আব্দুল হান্নান,আসাদ,তার ভাই রেজাউল মোড়ল মিলে আমার ছেলে মুনসুর আলীকে প্রথমে পিটিয়ে তার পা ভেঙ্গে দেওয়ার পর গলায় মাপলার পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার লাশ নিয়ে ডুমুরিয়া উপজেলার জামিরা কাঁটেঙ্গা চেচুড়িয়া বিলের মধ্যে অর্জুন গাছে লাশ ঝুলিয়ে রেখে হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রায় সময় মোবাইল ফোনসহ আমাকে প্রান নাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। নিহতর পিতা আজিজুর আজিজার দ্রæত হত্যার সাথে জড়িতদেরকে আটক করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।