আজিজুর রহমান, কেশবপুর থেকে: কেশবপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ৪ জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে আহত আবুল কালামের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে শনিবার সন্ধ্যায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এঘটনায় রুহুল কুদ্দুস ও বৈদ্যনাথ বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় পাল্টা-পাল্টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
উপজেলার সফরাবাদ গ্রামের আব্দুস সামাদ মোড়লের ছেলে আহত আব্দুল কালাম (৩৫) সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে মির্জাপুর গ্রামের আমছার জোয়াদ্দারের ছেলে রফিকুল ইসলাম জোয়াদ্দার (৪৫) গোলাঘাটা-মির্জাপুর বাজারে ডাক্তার আব্দুল গফুরের দোকানে ওষধ ক্রয় করছিল।
এসময় একই গ্রামের হাসান আলী মোড়লের ছেলে মনোয়ার হোসেন মিন্টু, মৃত মোহাম্মাদ আলী মোড়লের ছেলে বজলু মোড়লসহ ১০/১৫ জন লাঠি ও দেশী অস্ত্র নিয়ে আচমকা রফিকুল ইসলাম জোয়াদ্দারকে মারপিঠ শুরু করে। এসময় আমি ঠেকাতে গেলে তারা আমাকেও মারপিঠ করে গুরুতর আহত করে।
এ ব্যাপারে মনোয়ার হোসেন মিন্টু ও বজলু মোড়লের কাছে জানতে চাইলে তারা সাংবাদিকদের জানান, তাদেরকে আমরা মারপিঠ করিনি। রুহুল কুদ্দুস মোড়ল, সালাম মোড়ল, কালাম মোড়ল, মহিদুল মোড়লসহ ৫/৬ জন মিলে হঠাৎ করে একই গ্রামের মৃত নিছার আলী সরদারের ছেলে মণিরুজ্জামান সরদার (৩২) ও মৃত এরশাদ আলী সরদারের ছেলে তমিজুদ্দীন মোড়ল (৩২) কে মারপিঠ করে গুরুতর আহত করেছে। আহত মণিরুজ্জামান সরদার ও তমিজুদ্দীন মোড়ল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার এস আই ফজলে রাব্বী বলেন, উভয় পক্ষ পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছে। যাচাই বাছাই করার পর আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।