কেশবপুরে তালাক দেওয়া স্ত্রী স্বামী ও ইউপি সদস্যকে ফাঁসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে

36
কেশবপুর
কেশবপুর

আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি:কেশবপুর উপজেলার গৌরীঘোনা গ্রামে তালাক দেওয়া এক গৃহবধূ তার নিজের ঘর নিজেই ভেঙ্গে তালাক দেওয়া স্বামীসহ স্থানীয় ইউপি সদস্যকে ফাঁসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এঘটনাকে কেন্দ্র করে যে কোন সময় ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ তার বসতভিটা ভাংচুরের ষড়যন্ত্র মূলক অভিযোগ এনে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে ওই গৃহবধূর পরিবার।

উপজেলার গৌরীঘোনা গ্রামের সাজ্জাত ফকিরের ছেলে অলিয়ার ফকির সাংবাদকিদের জানান, আমার সাথে ডুমুরিয়া উপজেলার ষোলগাতী গ্রামের শামছুর গাজীর কন্যা রনজিদা খাতুনের সঙ্গে ১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল বিবাহ হয়। আমাদের ঘরে সাথী খাতুন একটি নামে কন্যা ও বাপ্পী ফকির নামে একটি পূত্র সন্তান রয়েছে। আমার স্ত্রীর কার্যকলাপ ভাল না থাকার কারণে তাকে আমি গত ৪ মাস আগে তালাক দিয়ে ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া গ্রামের মনু সানার কন্যা আকলি বেগমকে বিবাহ করে খর্নিয়ায় বসবাস করে আসছে। তালাক দেওয়ার পরও সে জোর পূর্বক আমার বসত ভিটাতে জোর পূর্বক ভাবে বসবাস করে আসছে। সে আরও বলেন আমার তালাক দেওয়া স্ত্রী গত ৩ মাস আগে আমার পিতা ও মা জোহরা বেগমকে মারপিট করে ষড়যন্ত্র মূলক আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান বলেন আমি রনজিদা খাতুনকে কখনও কুপ্রস্তাব দেয়নি এবং তার বসত ঘর ভাঙ্গার কোন প্রশ্নই আসে না। তাকে অলিয়ার ফকির গত ৪ মাস আগে তালাক দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রনজিদা খাতুন সহ তার পরিবারের লোকজন মিলে তরা নিজেরাই ওই বসত ঘর ভেঙ্গে ফেলে আমাকে ফাঁসাতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে ওই রনজিদা খাতুন। এ ছাড়া আমার বিরুদ্ধে আদালতে ষড়যন্ত্র মূলক আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। তার হাত থেকে আমি রেহায় পতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ ব্যাপারে সরাসরি রনজিদা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে, তিনি সাংবাদিকদের জানান আমি এখনও পর্যন্ত তালাকের কোন কপি পায়নি। সে কারণে স্বামীর ভিটা আকড়ে ধরে পরের জমিতে কাজ করে একটি বাড়ি নির্মাণ করে সেখানে বসবাস করে আসছে। অনেক কষ্টে আমার মেয়েটিকে বিবাহ দিয়েছে এবং তার ছেলে বাপ্পী ফকির বর্তমানে ৮ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করছে। কিন্তু আমাকে স্বামী অলিয়ার ফকির ভরন পোষণ না দিয়ে বিভিন্ন সময় যৌতুক দাবী করায় যশোরে চীফ জুডিশিয়াল আমলী আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতা আইনে মামলা করি। এদিকে ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান বিভিন্ন সময় আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। এরই জের ধরে গত ২৭ ফেব্রæয়ারী সন্ধ্যায় হাফিজুর রহমান আমাকে শ্লীলতাহানি ঘটায়। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে যশোরে চীফ জুডিশিয়াল আমলী আদালতে মামলা করি। অলিয়ার ফকির ও হাফিজুরের নামে আদালতে মামলা করায় বৃহস্পতিবার বিকালে তারা আমার নির্মিত বসত বাড়ি ভাংচুর করে। বসতভিটা ভাংচুর করায় আমি আমার ছেলেকে নিয়ে কোথায় আশ্রয় নেব। আমি প্রশাসনের নিকট বিচার প্রার্থনা করছি।