আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: কেশবপুরে জোর পূর্বক অপরিকল্পিত মৎস্য ঘের দখল করে মাছ চাষ করার কারণে ওই এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ রাস্তার ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে।
উপজেলার বড়েঙ্গা ও মাগুরখালী গ্রামবাসী সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘদিন ধরে বড়েঙ্গা গ্রামের মৃত জবেদ আলী গাজীর ছেলে জালাল উদ্দীন জোর পূর্বক অপরিকল্পিত ভাবে মৎস্য ঘের করায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি দেখা দিচ্ছে। যার ফলে বর্ষা মৌসুমে অত্র এলাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বড়েঙ্গা সম্মিলনী বিদ্যাপীঠের শ্রেণিকক্ষসহ মাঠে দীর্ঘদিন পানি জমে থাকে। ওই সময় বিদ্যাপীঠের বড় বড় গাছ মরে যায় এ বছরও যদি ঘেরের কারণে বিদ্যাপীঠের মাঠে পানি উঠে জমে থাকে তাহলে বাকী গাছগুলিও মরে যাবে। এছাড়াও মৎস্য ঘেরের চারি পাশে কাচা ফসল করার উঁচু জমিতে পানি উঠে কৃষকদের ফসল নষ্ট হয়ে যায়। তার ঘেরের ভেড়ি না থাকায় সরকারি রাস্তাকে ভেড়ি হিসাবে ব্যবহার করায় রাস্তা ভেঙ্গে নষ্ট হচ্ছে। শুধুতাই নয় সে সরকারি রাস্তার পানি সরানোর কালভার্ট আছে সেখানে পাটা দিয়ে বন্ধ করে পানি প্রবাহে বাঁধা সৃষ্টি করেছে। অভিযোগকারী বিজিবি’র অবসর প্রাপ্ত নায়েক আব্দুস শহীদ ও তার স্ত্রী জেসমিন আরা সাংবাদিকদের জানান, আমার মেয়ে সোনিয়া খাতুন কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সে মাঝে মধ্যে বাড়ি আসলে জালালের নেতৃত্বে ৩/৪ জন মিলে আমার মেয়েকে ভয়ভীতি দেখায় এবং প্রকাশ্যে আমার ও আমার পরিবারকে বিভিন্ন প্রকারের হুমকী দিয়ে আসছে।
এ ঘটনায় জেসমিন আরা বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় জালাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরী করেছে। যার নং- ৩৫২, তারিখ- ০৯/০৬/১৮। এছাড়া জালাল উদ্দীন তার প্রথম স্ত্রীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করার পর প্রথম স্ত্রীর নামে ২০ শতক সম্পত্তি ছিল কিন্তু জালাল উদ্দীন ভূয়া নাম সাজিয়ে তার নিজের নামে দলিল করে নেয়। এব্যাপারে জালাল উদ্দীনের মুঠোফোনে বার বার ফোন দেওয়া হলেও ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এব্যাপারে বড়েঙ্গা সম্মিলনী বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষকের মুঠোফোনে বার বার ফোন দেওয়া হলেও ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানূর রহমান বলেন, এধরণের অভিযোগ আসলে সেটা থানাতে পাঠিয়ে দিই। থানা ব্যবস্থা নিবে।