কেশবপুরে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীর হামলা রাইচ মিল দোকান ও ভাংচুর লুটপাটের ঘটনায় মামলা করায় ॥ আসামীদের ভয়ে বাড়ী ছেড়ে অন্যত্র জীবন-যাপন

17
keshabpur,jessore,

আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: কেশবপুরে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে রাইচমিল ও দোকানঘর ভাংচুর লুটপাট করে প্রায় ১৮লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন করেছে। এ ঘটনায় আলাউদ্দিন বিশ্বাস বাদি হয়ে কালাম সরদার সহ ৪০ ও অজ্ঞাত ৮ /১০ জনের বিরুদ্ধে কেশবপুর থানায় মামলা দায়ের করেছে। যার মামলার নং ১৭ তারিখ ১৫/৬/১৮। এদিকে মামলা তুলে নিতে বাদিকে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে বলে বাদি জানান। এ ঘটনার পর থেকে আসামীদের ভয়ে আলাউদ্দিন বিশ্বাস পরিবার নিয়ে বাড়ি ছেড়ে কেশবপুর শহরে বাড়ি ভাড়া করে জীবন যাবন করছে।

মামলা সুত্রে জানা গেছে উপজেলার শ্রীফলা গ্রামের মৃত চাঁদ আলী বিশ্বাসের ছেলে আলাউদ্দীন বিশ্বাসের সাথে একই গ্রামের মৃত ছবেদ আলী সরদারের ছেলে আবুল কাশেমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে খরিদকৃত জমি জায়গা ও বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ এবং মামলা মকোদ্দমা চলে আসছিল। আলাউদ্দীন বিশ্বাস তার ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান গত ১ জুন সকালে প্রতিবেশী কালাম সরদার, তার পিতা আদিল সরদার, কওছার, নজরুল ইসলাম, সলেমান, শাহিনুর রহমান, মোরাশরফ হোসেন, আহাদ আলী, ইসমাইল হোসেন, কাসেম হোসেন, হাসান আলী, মিজানুর রহমান,আমিনুর রহমান , বাবু সরদার , মোছেন আলী , সাইদ সরদার , মিন্টু সরদার, জামির সরদার , মাসুদ সরদার , সালেহা বেগম , শাহানারা বেগম , শেফালী খাতুন , শাহানারা খাতুন , তানজিলা রাশিদা খাতুন , মারুফা,জামেলা খাতুন, সালেহা বেগম ,মনোয়ারা বেগম ,জরিনা বেগম , ফিরোজা খাতুন , হিরা খাতুন , নুর জাহান, খদেজা বেগম ,মিনি বেগম , রুমা খাতুন , শেফালী খাতুনসহ ৮/১০ জন মিলে সন্ত্রাসী কায়দায় বাঁশের লাঠি লোহার রড় দা কোদাল সাবল দিয়ে আমার বসতবাড়ীর উঠানে চিৎকার করতে থাকলে ঐ সময় আমরা ঘর থেকে বেরিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা আমাদের উপরে হামলা করে। ঐ সময় আমার ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৫) ও বৌমা পারভীনা খাতুন (৩১) ছুটে আসলে তাদেরকেও মারপিঠ করা হয়।

এ সময় সন্ত্রাসীরা আমার বৌমার পরনের কাপড় ধরে টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানী করে এবং বৌমার গলায় থাকা ৪৮ হাজার টাকার স্বর্ণের চেন ২৪ হাজার টাকার দুল জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। আসামীরা পর সম্পদ লোভী দূর্দান্ত দূধর্ষ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক হওয়ায় আমার বসত ঘরের ঢুকে কাঠের বাক্র ভেঙ্গে মুরগী বিক্রির ৩ লক্ষ টাকা ৯৬ হাজার টাকার স্বর্ণালংকারসহ ঘরের ভিতরে থাকা টিভি ফ্রিজ আসবার পত্র ভাংচুর করে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি করে । এরপর আসামীরা একযোগে মিলে আমার বাড়ির সংলগ্ন রাইচ মিলের ভিতরে প্রকাশ্যে ঢুকে রাইচ মিলের স্যালো ইজ্ঞিন , ধান , আটা ,ময়দা , ভাঙ্গানোর মিল ঘর সহ ঘরের সামনে নির্মাধীন পাকা ঘর ভাংচুর করে ৮ লাখ টাকার ক্ষতি করে । ওই সময় আসামীরা মিলের মধ্যে থাকা ৫০ বস্তা ধান নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের ৩ টি নতুন ট্রান্স ফরমার ও ১ টি ৩০ হস পাওয়ার মটর যার মুল্যে ৫ লাখ টাকা ক্ষতি করেন ও ৯ লাখ ৩৮ হাজার টাকার বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় আসামীরা ।আলাউদ্দীন বিশ্বাস আরও বলেন আসামীরা লুটপাট ভাংচুর চুরি করে আমাদের উপরে হামলা করার ঘটনায় মামলা করেছি বলে আমাদের বিভিন্ন সময় প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে । সেই কারনে আমরা তাদের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে কেশবপুর শহরে বাসা বাড়ি ভাড়া করে জীবন যাপন করছি । প্রশাসনের কাছে দাবি দ্রুত আসামীদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক ।

এ ব্যাপারে সরাসরি আসামীদের কাছে জানতে চাইলে তারা সাংবাদিকদের জানান আলাউদ্দিন বিশ্বাস জমি দখল করে মিল কারখানা ও বসত বাড়ি নির্মান করে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। যার ফলে আমরা চলাচল করতে পারছি না । সেই কারণে মিলঘর ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এলাকার অসহায় মানুষের জমিজায়গা ফাঁকি দিয়ে ভোগ দখল করে আসছে যার জন্যে আমরা নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছি। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক মামলা দিয়ে হয়রানি করে চলেছে ঐ আলাউদ্দিন বিশ্বাস।