<
p style=”text-align: center;”>ঘর বাড়ি ভাংচুর স্বর্ণের চেইন লুট ৮০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন আহত- ৩
আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি:
কেশবপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা হামলা চালিয়ে মহিলাসহ ৩ জনকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করার পর স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়াসহ প্রায় ৮০ হাজার টাকার মালামাল উধাও করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ব্যক্তিরা কেশবপুর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় মকছেদ আলী বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা ছোট দোরমুটিয়া গ্রামের মৃত তালেব উল্ল্যাহ মোড়লের ছেলে মকছেদ আলীর সাথে পাশ্ববর্তী বায়সা গ্রামের মৃত আছেল দফাদারের ছেলে আব্দুল মোমিনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সাবদিয়া মৌজার ৯০ নং খতিয়ানের ১১৩ দাগে ৩ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ওই জমির নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মকছেদ আলী একটি মামলা দায়ের করেন, যার রায় মকছেদ আলীর পক্ষে হওয়া সম্প্রতি ওই জমির উপর সে ঘর নির্মাণ করতে গেলে এরই জের ধরে গত ২০ আগস্ট দুপুরে আব্দুল মোমিনের নেতৃত্বে বায়সা গ্রামের কামরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, তাছরিফা বেগম, শরিফা বেগম, মুক্তা বেগম, বেগমপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার সরোয়ার হোসেন, সোহাগ হোসেনসহ ১০/১৫ জন মিলে লাঠিসোটা, ধারালো দা, কুড়াল, লোহার রড হাতে নিয়ে মকছেদ আলীর তৈরিকৃত টিন সেটের বাড়ি ঘর ভাংচুর করে। ওই সময় মকছেদ আলী প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে মারপিট করতে থাকে।
ওই সময় তার স্ত্রী শেফালী বেগম (৪০) ও ছেলে মঈনুল ইসলাম (২২) ঠেকাতে এলে প্রতিপক্ষরা তাদেরকে মারপিট করে গুরুত্বর আহত করে এবং শেফালী বেগমের গলায় থাকা ৪৮ হাজার টাক্রা স্বর্ণের জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেওয়ার পর তাকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে এবং রাতের আধারে ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ঘর তৈরির মালামাল উধাও করে ফেল।
এ ব্যাপারে আব্দুল মোমিনের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ১৫ বছর আগে ওই সম্পত্তি ক্রয় করি। তাদের ঘর বাড়ি ভাংচুর করার কোন প্রশ্নই উঠেনা। যাদের ঘর তারাই ভেঙ্গে আমার পরিবারকে ষড়যন্ত্র মূলক অভিযোগ দিয়ে হয়রাণী করে চলেছে।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার উপপরিদর্শক ফকির ফেরদৌস জানান, উভয় পক্ষ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। যার তদন্ত চলছে।