আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: কেশবপুরে গত ২৩ এপ্রিল যশোর জেলা ছাত্রদলের সাথে কেশবপুর থানা, পৌর ও কলেজ ছাত্রদলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হওয়ায় ঝিমিয়ে পড়া ছাত্রদলের নেতা-কর্মিরা উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে। বিএনপির অন্যতম এ সংগঠনটির গুরুত্বপূর্ন পদ পেতে তারা দৌড়-ঝাপ শুরু করেছে।
একেক পদের জন্য একাধিক নেতা তৃণমূল থেকে শুরু করে উপরি মহলের নেতাদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন । তবে এদের মধ্যে একাধিক নেতার বিরুদ্ধে গত ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করা, দলীয় সিদ্ধন্ত উপেক্ষা করে সদ্য হয়ে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সরাসরি আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কারার অভিযোগ রয়েছে। ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ন পদ পেতে বিতর্কিত এসব নেতাদের দৌড়-ঝাপ দেখে এ উপজেলার ছাত্রদলের ত্যাগি নেতা-কর্মিদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সূত্র জানায়, কেশবপুর থানা, পৌর ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ২০১৩ সালে গঠিত হয়। থানা ছাত্রদল ৮ সদস্যের, কলেজ শাখা ছাত্রদল ৭ সদস্যের ও পৌর ছাত্রদল ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। থানা কমিটিতে তরিকুল ইসলামকে সভাপতি, মজনু হুসাইনকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, মেহেদী হাসান শিপনকে সাধারণ সম্পাদক, ইয়াছিন আলী, বাবুল রানা বাবু, আব্দুল খালেককে যুগ্ম্-সম্পাদক, বাবলুর রহমানকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে, পৌর কমিটিতে মোকাদ্দেছুর রহমান বাবুকে সভাপতি, জাহঙ্গীর হোসেন পলাশকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, আনোয়ারুল ইসলাম রনিকে সাধারণ সম্পাদক, রিপন হোসেন, মেহেদী হাসানকে যুগ্ম্-সম্পাদক ও জাহাঙ্গীর আলমকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে, কেশবপুর ডিগ্রী কলেজ শাখার কমিটিতে মিজানুর রহমান মিঠুকে সভাপতি, আব্দুল হালিমকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, ফরিদ-উজ-জামানকে সাধারণ সম্পাদক, আল-আমিন, ইবাদুল ইসলামকে যুগ্ম্-সম্পাদক, খায়রুল বাবুকে সাংগঠনিক সম্পাদক, ইমরান হোসেনকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক করে আংশিক কমিটি গঠন করা হয়।
দীর্ঘদিনে কমিটি পূূর্নাঙ্গ না হওয়ায় সংগঠনটির কর্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ে। সূত্র জানায়, গত ২৩ এপ্রিল যশোর জেলা ছাত্রদলের সাথে কেশবপুর থানা, পৌর ও কলেজ ছাত্রদলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হওয়ায় ঝিমিয়ে পড়া ছাত্রদলের নেতা-কর্মিরা নড়েচড়ে বসেছেন। তারা গুরুত্বপূর্ন পদ পেতে তৃণমূল থেকে শুরু করে উপরি মহলে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। জানা যায়,থানা ছাত্রদলে গুরুত্বপূর্ন পদ পেতে মেহেদী হাসান বিশ্বাস, বাবুল রানা বাবু, আলী মুনছুর, খায়রুল বাবু, মেহেদী হাসান হিমেল, বিপুল আজিজ, মুস্তাফিজুর রহমান, সবুজ আরমান, হুসাইন মজনু, জাকির হোসেন, ফরিদ-উজ-জামান, মাসুম বিলাহ, মাসুদ রানা, পৌর ছাত্রদলে গুরুত্বপূর্ন পদ পেতে ইকরামুল কবির, এসএম ফারুক হোসেন, ইমন বিশ্বাস, জাহাঙ্গীর আলম, শহিদুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, মেহেদী হাসান সুমন, সোহানুর রহমান সোহান ও কেশবপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদল গুরুত্বপূর্ন পদ পেতে সুজন রহমান, মাসুম বিলাহ, নাসিম উদ্দীন, আবুল বাশার ও ফরহাদ হোসেন তৃণমূল থেকে শুরু করে উপরি মহলে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে, থানা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি হুসাইন মজনু হুসাইনের বিরুদ্ধে গত ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন না করে সরাসরি আওয়ামীলগের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করার অভিযোগ রয়েছে তার ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর।
তিনি দলীয় সিদ্ধন্ত উপেক্ষা করে সদ্য হয়ে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সরাসরি আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন। এছাড়া থানা ছাত্রদলে গুরুত্বপূর্ন পদপ্রার্থী ফরিদ-উজ-জামান, মাসুম বিলাহ, রিপোন হোসেন, পৌর ছাত্রদলে গুরুত্বপূর্ন পদপ্রার্থী মেহেদী হাসান, মেহেদী হাসান সুমন, সোহানুর রহমান সোহান ও কেশবপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদল গুরুত্বপূর্ন পদপ্রার্থী মাসুম বিলাহ, ফরহাদ হোসেন দলীয় সিদ্ধন্ত উপেক্ষা করে সদ্য হয়ে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সরাসরি আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন।
সাঁগরদাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও গত ইউপি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাষ্টার আমানত আলী জানান, আমি গত ইউপি নির্বাচনে দলের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করি। ওই নির্বাচনে থানা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মজনু হুসাইন ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে নির্বাচন না করে সরাসরি আওয়ামীলীগের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করে। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর ও সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি বলেন, বিগত দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে তাদের ভেতর থেকে নিয়মিত ছাত্র ও অবিবাহিতদের উপজেলা ছাত্রদলের কমিটিতে রাখা হবে।
এছাড়া করো বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ থাকলে তা যাচাই বাছাই করা হবে। সত্যতা পেলে ছাত্রদলে তাদের কোন গবাদি প্রাণী পালনকারী খামারীদের মাঝে বিনামূল্যে উক্ত উচ্চফলনশীল নেপিয়ার পাকচং ঘাসের কাটিং বিতরণ করা হচ্ছে।



