আজিজুর রহমান,কেশবপুর প্রতিনিধি:
কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গরিব-দুঃখী শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে গভীর রাতে শীতার্ত মানুষের বাড়িতে কম্বল নিয়ে হাজির হচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন গত শুক্র ও শনিবার রাতে এভাবেই কম্বল বিতরণ করেছেন। তিনি উপজেলার সাতবাড়িয়া, মজিদপুর, গৌরিঘোনা, বিদ্যানন্দকাটি, সুফলাকাটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ছিন্নমূল গরীব ও অসহায় শীতার্ত মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তাদের মাঝে কম্বল পৌঁছে দিচ্ছেন। কনকনে শীতের মধ্যে হঠাৎ যখন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেনের হাতে শীতবস্ত্র দেখে ছিন্নমূল দুস্থ, অসহায় ও প্রতিবন্ধীরা আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। এসব শীতবস্ত্র উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে ছিন্নমূল গরীব ও অসহায় শীর্তাত মানুষের মাঝে বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে। এছাড়াও যশোরের জেলা প্রশাসকের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে পাওয়া প্রায় দুই শতাধিক পোষাক এতিম ও দরিদ্র শিশুদের হাতে তুলে দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রান তহবিল থেকে কেশবপুর উপজেলার অসহায় ও দরিদ্র মানুষের জন্য ৫ হাজার ৫ শত ২০ টি কম্বল প্রদান করা হয়। এসব কম্বল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ১১ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে প্রকৃত দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশের সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তার সাহসী নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি সব সময় অসহায় মানুষের কষ্ট লাঘবে নিজেকে নিবেদিত রেখেছেন। শীতে মানুষ যাতে কষ্ট না পায় সে জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন তিনি। শীতে যেন কোনো মানুষের কষ্ট করতে না হয়। এ কথা চিন্তা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শীতার্ত মানুষের জন্য উপহার স্বরূপ কম্বল দিয়েছেন। আমরা দুঃস্থ শীতার্ত মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসব কম্বল পৌঁছে দিচ্ছি। শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার তরিকুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রিজিবুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা জি এম আজমল হোসেন, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী শুভংকর বিশ্বাস, উপজেলা সহকারি বিআরডিবি অফিসার সুজন চন্দ্র প্রমুখ।