আজিজুর রহমান, কেশবপুর থেকে: কেশবপুরে ক্রয় কৃত সম্পত্তির দখল নিতে প্রতিপক্ষরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় আব্দুল লতিফ বাদী হয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগের অনুলিপি প্রদান করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের মৃত আকমান আলী বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল লতিফের স্ত্রী লাকিয়া বেগমের ক্রয় কৃত সম্পত্তিতে একই গ্রামের আমজেদ হোসেনের ছেলে প্রতিবন্ধী আক্তারুজ্জামান তার দাদা ও দাদীকে নিয়ে ওই সম্পত্তির ওপরে বসবাস করে আসছে। সম্প্রতি সে ওই সম্পত্তিতে জাল পর্চা তৈরি করে একটি বৈদ্যুতিক মিটার নেয়।
মিটার নেওয়ার কিছুদিন পর বিদ্যুৎ অফিস জাল পর্চার জন্য তার সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের পর থেকে সে ওই সম্পত্তি খাস প্রমাণের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে নিজেকে ভূমিহীন দাবী করে আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক অভিযোগ দায়ের করতে থাকে। আব্দুল লতিফ অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, আক্তারুজ্জামান প্রতিবন্ধী হলেও ভূমিহীন নয়। তার দাদীর নামে সম্পত্তি যার খতিয়ান নং-৮৪৪, দাগ-৩২২৬ ও মায়ের নামে সম্পত্তি যার খতিয়ান নং-৮৪৪, দাগ-৩২৩১ নামে সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও সে লাকিয়া বেগমের সম্পত্তির ওপর বসবাস করে লাকিয়া বেগমের ও তার পরিবারের ওপর অত্যাচার করে আসছে।
লাকিয়া বেগম আক্তারুজ্জামানের সম্পর্কে ফুফু হওয়ায় তারা তাদের সম্পত্তির ওপর আক্তারুজ্জামানকে বসবাস করতে দেওয়াসহ আক্তারুজ্জামানের অত্যাচার সহ্য করে আসছে। অভিযোগ সূত্রে আরো জানা গেছে, আক্তারুজ্জামান ইয়াবাসহ ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসাবে কেশবপুর থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল।
যার কেস নং- এফ আই আর ১/১৯, তারিখ ১/২/১৭। আব্দুল লতিফ সাংবাদিকদের জানান, আমার স্ত্রী লাকিয়া বেগমের নামে ক্রয়কৃত সম্পত্তি আক্তারুজ্জামান খাস প্রমান করার জন্য পায়তারা করাসহ আমাদের অত্যাচার ও বিভিন্ন হুমকি প্রদান করছে। যার কারণে দুশ্চিন্তায় জীবন যাপন করছি। এব্যাপারে আক্তারুজ্জামানের বক্তব্য নেওয়ার জন্য বারবার ফোন দেওয়া হলেও তার ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।