আজিজুর রহমান, কেশবপুর থেকে : কেশবপুরে এক বৃদ্ধকে দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে রেখে প্রতিপক্ষরা মারপিঠ করে আহত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আহত ওই বৃদ্ধকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলার জাহানপুর গ্রামের মৃত নিমাই দাসের ছেলে আহত বৃদ্ধ নগেন দাস (৮০) সাংবাদিকদের জানান, একই গ্রামের মৃত শ্রীরাম দাসের ছেলে হরিচরণ দাস ও গুরুচরণ দাসের সাথে দীর্ঘদিন ধরে আমার জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। আমি বুধবার রাতে আমাদের এলাকার একটি নামযজ্ঞ অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরছিলাম।
এসময় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হরিচরণ দাস, গুরুচরণ দাস, হরণ দাসের ছেলে গোপাল দাস, গুরুচরণ দাসের ছেলে গোবিন্দ দাস, হাজরা দাসের ছেলে শংকর দাস মিলে আমার হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে হরিচরণ দাসের বাড়ির সামনে লাঠি-সোটা দিয়ে বেদম মারপিঠ করে আমাকে রক্তাক্ত জখম করে।
আমার আত্মচিৎকারে এলাকাবাসী ওই রাতেই তাদের হাত থেকে আমাকে উদ্ধার করে। এব্যাপারে সরাসরি হরিচরণ দাস ও গুরুচরণ দাসের কাছে জানতে চাইলে তারা সাংবাদিকদের জানান, নগেন দাসকে আমরা মারপিঠ করিনি। সে নিজে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে। তার সাথে আমাদের আদও জমি জায়গা নিয়ে কোন বিরোধ নেই।
এ ব্যাপারে সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন দফাদার বলেন, ওই রাতেই আমি মারপিঠের ঘটনা শুনেছি। মুক্তিযোদ্ধা নগেন দাসের পরিবার থেকে মারপিঠের ঘটনায় আমাকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেশবপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে আহত নগেন দাস জানান।