আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কেশবপুর উপজেলা শাখার মডেল কেয়ারটেকার রুহুল আমীনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ৭ আগস্ট স্মারক নং- ১০৭/ইফা:য:/মউশিক/এমসিটি/ব্য:নথি/০৫/১২/১৫৯(৭) মোতাবেক ইসলামিক ফাউন্ডেশন যশোরের উপপরিচালক সৈয়দ আব্দুল মইন স্বাক্ষরিত এক পত্রে তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়।
কেশবপুর উপজেলার কন্দর্পপৃর গ্রামের রুহুল আমীন বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন (মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম) কেশবপুর উপজেলা শাখার মডেল কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন। ক্ষতিগ্রস্থরা ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে রুহুল আমীনের বিরুদ্ধে ইসলামিক ফাউন্ডেশন যশোরের উপপরিচালক বরাবর একাধিক অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত ২৩ জুলাই এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যশোরের উপপরিচালক ৪ লাখ ৭০ হাজার ৩৪০ টাকা হাতিয়ে নেয়ার সুনির্দিষ্ট ৮টি অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদানসহ ৩ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়। একই সাথে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্যে অনুরোধ করা হয়। মডেল কেয়ারটেকার রুহুল আমীনের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় গত ৭ আগস্ট ইসলামিক ফাউন্ডেশন যশোরের উপপরিচালক সৈয়দ আব্দুল মইন স্বাক্ষরিত এক পত্রে তাকে দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন থেকে সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। পত্র দেয়া হয় কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সভাপতি, কেশবপুর প্রেসক্লাব ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন কেশবপুরের ফিল্ড সুপারভাইজারকে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল বারী বলেন, কেশবপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মডেল কেয়ারটেকার রুহুল আমীনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের ওপর গত ১৩ আগস্ট তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় ক্ষতিগ্রস্থ মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের ১৫ জন শিক্ষক অর্থ হাতিয়ে নেয়ার লিখিত জবানরন্দী দিয়েছে। ১৬ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।