আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: কেশবপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কেন্দ্রের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মেয়ের পিতা জাকির হোসেন বাদী হয়ে যশোর উপ-পরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জান গেছে, উপজেলার সুজাপুর গ্রামে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কেন্দ্রের সুজাপুর পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদের মির্জানগর গ্রামের আব্দুর রউফ খাঁর ছেলে শিক্ষক হাফেজ ফারুক হোসেন দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। সুজাপুর গ্রামের মেয়ের পিতা জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গত ৬ মাস পূর্বে শিক্ষক থাকা অবস্থায় আমার মেয়েকে পড়াত সেই সুযোগে মেয়ের সরলতার সুযোগ বুঝে তাকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তাতে মেয়ে রাজি না হওয়ায় বিবাহের প্রস্তাব দেয়। বিষয়টি মেয়ে আমাকে জানালে আমি শিক্ষক ফারুক হোসেনকে নিষেধ করি। কিন্তু সে আমার কথায় কর্ণপাত না করিয়া শিক্ষক হাফেজ ফারুক হোসেন সু-কৌশলে আমার মেয়েকে ভুল বুঝিয়ে একটি মোবাইল ফোন কিনে দেয় ওই সময় গোপনে সে আমার মেয়ের জন্ম নিবন্ধ কার্ড নিয়ে নেয়। পরবর্তীতে শিক্ষক ভোগতী ফকিরপাড়া জামে মসজিদ কেন্দ্রে পরিচালনা শুরু করেন। তার পর থেকে আমার মেয়েকে রাস্তায় বিভিন্ন ভাবে উত্যাক্ত করে চলেছে। আমার মেয়েকে শিক্ষকের হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে সরাসরী শিক্ষক হাফেজ ফারুক হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, সুজাপুর থাকাকালী আমাদের ২ জনের বিবাহ ঠিক হয়। পরবর্তীতে ওই বিয়ে হবে না বলে মেয়ের পিতা আমাকে জানান। এর কিছু দিন পর মেয়ে আমাকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে মণিরামপুর বাজারে বন্ধু আজিজ মোল্যার সাথে দেখা করলে মেয়ের বয়স কম থাকায় তাৎক্ষনিক ভাবে স্থানীয় মৌলভী ডেকে এনে বিবাহ পড়ায়।
এ ব্যাপারে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যশোর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।