আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: কেশবপুরে ক্ষাপা কুকুরের কামড়ে ৩ দিনেই শিশু শিক্ষার্থীসহ ১০ জন গুরুত্বর আহত হয়েছে। আহতরা কেশবপুর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য সেহাব হোসেন (০৫) নামে এক শিশু কে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার ৩ দিনে ক্ষাপা কুকুরের কামড়ে কেশবপুর ও মণিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের শিশুসহ ১০জন আহত হয়েছে। তারা হলেন, মশ্মিমনগর গ্রামের আতিয়ার রহমানের স্ত্রী রেশমা বেগম (২৫) সাতবাড়িয়া গ্রামের মৃত গোপাল চৈাধুরির ছেলে রাজীব(৩২),সাইফুল ইসলামের ছেলে শিশু সেহাব হোসেন (০৫)মুজগুন্নি গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে এনামুল (২৪) শ্রীফলা গ্রামের মৃত আনছার আলীর স্ত্রী আজিজা বেগম(৬০)ব্রক্ষ্মকাটি গ্রামের সুর্য দাসের ছেলে বাবুল দাস(৫০) কালিয়ারই গ্রামের সবুর শেখের শিশু পুত্র মাহমুদুল হাসান (০৫) মঙ্গলকোট গ্রামের বারিক বিশ্বাসের স্ত্রী জবেদা বেগম (৬৫) কাবিল পুর গ্রামের ইসহাক আলী (৭০) মাদার ডাঙ্গা গ্রামের সন্দীপ দেবনাথের ছেলে প্রদিপ(১৬) নারানপুর গ্রামের বাচ্ছুর মেয়ে সুমাইয়া (০৫)তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা(ভ্যাকসিন) দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা শেখ আবু শাহিন বলেন, উক্ত পাগলা কুকুরটি র্যাবিক্স ভাইরাজে আক্রান্ত । আক্রান্ত ঐ কুকুরটি যাকে কামড় দিচ্ছে সে র্যাবিক্স ভাইরাজে আক্রান্ত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন,স্থানীয় এমপি, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের বিশেষ সহযোগীতায় এ বছর হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমান ভ্যাকসিন মজুদ থাকায় আক্রান্ত রোগীদের যথা সময়ে চিকিৎসা দিতে আমরা সক্ষম হচ্ছি।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুন এক দিনে বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ২৫ জন আহত হয়েছিল।