আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: কেশবপুর উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করার লক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে ভিক্ষুকদের মাঝে বিভিন্ন সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী প্রধান অতিথি ভিক্ষুকদের হাতে ছাগল, হাস-মুরগী ও মুদি দ্রব্য প্রদান করেন। সকাল ১০টায় কেশবপুর আবু শারাফ সাদেক অডিটোরিয়ামে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ভিক্ষুকমুক্তকরন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক বলেন, এক সময় বিদেশীরা আমাদের ভিক্ষুকের দেশ হিসেবে উপহাস করতো। আমরা ভিক্ষুকের জাতি হিসেবে বাঁচতে চাই না। আমরা সম্মান নিয়ে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকতে চাই। ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হবে। গত ১০ বছর শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থেকে দেশের অনেক উন্নয়ন করেছে। আগামী নির্বাচনে আবারও নৌকার সরকার ক্ষমতায় আসবে। তখন কেশবপুরকে মডেল উপজেলায় উন্নতি করা হবে। সেখানে থাকবে না কোন ভিক্ষুক, থাকবে না কোন নিরক্ষর লোক, থাকবে না দারিদ্রতা। এ রকম কেশবপুর আমরা চায়। ১৫ আগস্ট উপলক্ষে আমরা কেশবপুরকে ভিক্ষুকমুক্ত করতে চায়। গোটা উপজেলার তালিকাভুক্ত ৩৬৩ জন ভিক্ষুকের মধ্যে ২৪০ জনকে পূর্নবাসন করা হয়েছে। বাকিদের কয়েক দিনের ভেতর পূর্নবাসনের কাজ শেষ হবে।
সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মোট ১০ জন ভিক্ষুকদের মধ্যে ৪ জনকে ছাগল, ৩ জনকে হাস-মুরগী ও ৩ জনকে মুদি সামগ্রী দেয়া হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহে মধ্যে বাকিদের দেয়া হবে। গত বছর উপজেলার ২৪০ জনকে পূর্নবাসন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানূর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তপন কুমার ঘোষ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কবির হোসেন, ওসি সৈয়দ আব্দুল্লাহ, জেলা পরিষদের সদস্য হাসান সাদেক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা সাদেক, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ-উজ-জামান খান, প্রমুখ।
এরপর প্রতিমন্ত্রী জাতীয় শোক দিবসে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করেন।