বিশেষ প্রতিবেদক :: অবহেলা ও বেখায়ালে বিলীন হয়েছে প্রাচীন সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ জনপদ। দেখার কেউ নেই সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ। ধীরে ধীরে ধাবিত হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের বসত বাড়িতে বাওড়ের পানির ঢেউয়ে ভাঙ্গনের ভয়াল থাবায়। আর কয়েক বছর এভাবে চলতে থাকলে খেয়ে ফেলবে এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ি ঘর বাওড়ের ভাঙ্গনের বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাছাড়া টানা বর্ষনে এলাকায় দেখা যায় ভয়াবহতার দৃশ্য।একসময় হেলে, মুখ থুবড়ে পড়বে ঐ এলাকার মানুষের বাপ দাদার স্মৃতির পৈতৃক বসত ভীটা ও বাড়ি ঘর স্থানীয় বৃহত্তম দলুইপুর বাওড়ে।সর্বস্ব হারাবে এলাকার হাজারো বাসিন্দারা। কষ্ট স্বীকার করে কৃষি ফসল ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন গুলো বাগানের পথ ধরে বলে জানান ভুক্তভোগীরা ।
সাতক্ষীরা কলারোয়ার বৃহত্তম বাওড়ের মধ্যে একটি বাওড় দেয়াড়ার খোরদো দলুইপুর বাওড়। ঐ বাওড়ের উপরে রাস্তাটি প্রাচীন আমলেই নির্মিত ও পুর্ব থেকে জনসাধারণের চলাচলের উপযুক্ত ছিল বলে জানান স্থানীয়রা । কিন্তূ বর্তমানে বিলীন হয়ে রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে জনসাধারণের জন্য। দিনে দিনে সেটা আজ অবহেলা ও অনাদরে বাওড়ের সাথেই বিলীন হয়ে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে।চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে একেবারেই যেটা সরোজমিনে দেখলে বোঝা যাবে স্থানীয়দের দুর্দশার চিত্র বলে জানান তারা । একসময় হয়তোবা বাড়ি ঘর এবং বসত ভীটা ছেড়ে চলে যেতে হবে বলে মনে করছেন অনেকেই ।রাস্তা ভাঙনের পর এবার ধাওয়া করেছে মানুষের বসত ভিটার দিকে।এবং ফসলী জমিসহ অন্যান্য জিনিস নিয়ে ব্যাপক প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বাগান দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে সকল শ্রেণীর মানুষের। চলাচলের জন্য হাজারো পথচারীরাও দুর্ভোগে। অগত্যা মানুষের বাড়ি কিংবা বোন বাদড় ও মেঠো পথ ধরে বাগানের ভিতর দিয়ে কষ্টের সহিত পাড়ি জমাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে পায়ে হেঁটে কিংবা যানবাহন নিয়ে বলে জানা যায় ।
ঘটনাস্থলের চতুর্দিক পরিদর্শন করে দেখা যায়, উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের একটি বৃহত্তম জলাকারের চতুর্দিকে অবস্থান করছে কয়েক হাজার বাড়ি ঘর ও মানুষ।যেটা ঘিরে ১০-১৫ টিরও বেশি গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী এলাকা মিলে চলাচল করে ঐ বিলিন হওয়া রাস্তা দিয়ে।
এত জনবহুল এলাকার বিলীন হওয়া জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কারহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে ।যার চতুর্দিকে বসবাস করছে,দলুইপুর,পাকুড়িয়া,
মিরডাংগা ,
দেয়াড়াসহ পার্শ্ববর্তী তালুনদিয়া গ্রামের বাসিন্দাদেরও চলাচল ঐ গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দিয়ে জানান স্থানীয়রা। ঐ প্রাচীন জনপদের সংযোগস্থল পৌঁছে গেছে কলারোয়া উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলা উপজেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বলেও জানা যায়। যেটা দিয়ে শহর কেন্দ্রীক মেইন সড়কটিতে পৌছাতে অভ্যন্তরীণ চলাচলের দিক থেকে খুবই সহজলভ্য ও কম খরচে পাড়ি জমাতে পারে সকল স্থানের হাজারো পথচারীরা।স্থানীয়রা বলেন , উপজেলার খোরদো বাজার থেকে শরসকাটি ভায়া – পাটকেলঘাটা,সাগরদাঁড়ী, খোরদোবাট্রা, ত্রীশমাইল, মাইকেল বাড়ি,পাটকেলঘাটা ও সরসকাটির পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ খুলনা, শ্যামনগর, বরিশাল, মূণ্সিগন্জসহ দক্ষিণঞ্চলে যেতেও একটি সহজতর সড়ক ঐ খোরদো দলুইপুর বাওড়ের উপরের অবস্থিত বিলীন হওয়া প্রাচীন রাস্তাটি। এমনকি স্থানীয় বাসিন্দা ও দুর দুরান্তের মানুষের কৃষি ফসলসহ বিভিন্ন মালামালের যানবাহন চলাচলে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তূ ধারণা করা হচ্ছে ২০০০ সালের বন্যা ও তারও আগে থেকেই বাওড়ের ভাঙ্গনে জনপ্রতিনিধিদের বেখায়াল ও অবহেলায় রাস্তাটি বাওড়ে বিলীন হয়ে দুর্ভোগ চরমে উঠেছে শহস্রাধীক গ্রাম /বাড়ি ও হাজারো মানুষের জীবন যাপন এবং চলাচল।তাছাড়া স্থানীয় কয়েকটি কবরস্থানও বাওড়ে বিলীন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে এমনকি ভেঙে পড়েছে। এমনই কথা অভিযোগের সুরে ব্যক্ত করেন, স্থানীয় মোঃ গোলাম মোস্তফা সরদার, মোঃ খোকন সরদার, ইদ্রিস আলী সরদার, আব্দুল কাদের, রবিউল ইসলাম, মাষ্টার রিজাউল ইসলাম, তফিকুল ইসলাম, নিছার আলী সরদার,আমিন উদ্দিন,আমের আলী, নাহিদ পারভেজ, সাহাজামাল মিলন, আব্দুল, আকমল হোসেন, বাবুল হোসেন,সুলতান আহমেদ, মোঃ শহিদুল ইসলাম,খোকন সরদার,মোঃ লুৎফর রহমানসহ একাধিক স্থানীয় বাসিন্দারা।
তাই অতিদ্রুত উপজেলার দলুইপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মুখ থেকে সরসকাটি ভায়া গড়গড়িয়া বাজার সংলগ্ন মুখে আনুমানিক দুই কিলোমিটার বিলিন হওয়া প্রাচীন রাস্তা /জনপদটি সংস্কারের জন্য ভুক্তভোগীরা জোর দাবি জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।