কলারোয়ায় যৌতুক লোভী স্বামীর নির্যাতন:গৃহবধূর গর্ভের সন্তান নষ্ট করে বাথরুমে আটকে রাখার অভিযোগ

9
লাল সবুজের কথা- Lal Sobujer Kotha

জুলফিকার আলী,কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ কলারোয়ায় যৌতুক লোভী স্বামীর নির্যাতনে এক গৃহবধূর গর্ভের সন্তান নষ্ট করে বাথরুমে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। পরে এলাকাবাসী ওই গৃহবধূকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কলারোয়া হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সাতক্ষীরা সদর হাপতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে-মঙ্গলবার কলারোয়া উপজেলার বড়ালী গ্রামে।

এ বিষয়ে কলারোয়া থানায় ৪ জনের নামে একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। জানা গেছে- ৬বছর পূর্বে উপজেলার বড়ালী গ্রামের মৃত ওজিয়ার সরদারের কন্যা সুফিয়া খাতুনের সহিত ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক একই গ্রামের নেছার আলীর ছেলে নাজমুল ইসলামের সাথে বিবাহ হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে যৌতুকের দাবীতে স্ত্রী সুফিয়া খাতুনের উপর চলে নির্যাতন।

এমনকি তার প্রথম সন্তান নষ্ট করে দেয়। তার পিতার আর্থিক অবস্থা খারাব হওয়ায় স্বামীর নির্যাতন মুখ বুজে সহ্য করে আসছে। এর মধ্যে সুফিয়া খাতুন অন্ত:স্বত্বা হয়ে পড়ে। যা তার স্বামী নাজমুল ইসলাম জানতে পারে। গত ১৯ ফেব্রুয়রী দুপুরের খাবারের সাথে জোরপূর্বক সন্তান নষ্ট করার ঔষধ খাইয়ে দেয়। পরে সুফিয়া খাতুনের পেটে যন্ত্রনা শুরু হলে সে কান্দা কটি করে।

এসময় স্বামী নাজমুল ইসলাম স্ত্রী সুফিয়া খাতুনকে ধরে নিয়ে বাথরুমে আটকে রাখে। সেখানে সুফিয়া খাতুনের ব্লাড ভাংতে থাকে। এক পর্যায়ে তার ডাক চিৎকারে পাশ্ববর্তী লোকজন এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কলারোয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তার অবস্থা অবনতি হলে কলারোয়া হাসপাতাল থেকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। বর্তমানে সে সাতক্ষীরায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।