আশাশুনি প্রতিনিধি ॥ পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে আশাশুনিতে শুরু হয়েছে বাইরের জেলা থেকে কর্মজীবি মানুষের ঘরে ফেরার হিড়িক। এ কারণে করোনা ভাইরাম ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্কে দিন পার করছেন আশাশুনি উপজেলার মানুষ। সড়কে পরিবহন বন্ধ থাকার পরও সাধারণ মানুষ বিকল্প পরিবহন যোগে বাড়ী ফিরতে শুরু করেছে। প্রতিদিন খুব সকালে ও সন্ধ্যার পর উপজেলার প্রতিটি সড়কে মিলছে নতুন নতুন মানুষের মুখ।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত বাইরে থাকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় মানুষ যখন নিরাপদে ঘরে ঠিক সেই সুযোগে বাইরের জেলা থেকে সাধারণ মানুষ বিকল্প পরিবহন যোগে বাড়ি ফিরছে। সম্প্রতি কুল্যা ইউনিয়নের কচুয়া-হামকুড়া গ্রামের মান্নান সরদারের ছেলে আজিজুল ইসলাম, কুল্যা গ্রামের গোলাপ মালীর ছেলে সবুজ মালী, গফুর সরদারের ছেলে ডাবলু সরদার, খাজরা ইউনিয়নের দক্ষিণ গদাইপুর গ্রামের খোলপেটুয়া নদীর পাশের বাসিন্দা আব্দুল হাই সরাদার সহ তার মেয়ে-জামাই ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর সহ বিভিন্ন জেলা থেকে আশাশুনি উপজেলায় এসেছে।
এ ছাড়া উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মজীবি সাধারণ মানুষ করোনা ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে নিজ বাড়ীতে (আশাশুনি উপজেলায়) আসতে শুরু করেছে। প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় গ্রাম পুলিশ তাদের বাড়ীতে লাল ফ্লাগ তুললেও বন্ধ হচ্ছে না ঘর থেকে বাইরে আসা। বাজার, মোড়, মসজিদসহ পাড়া-মহল্লায় অবাদে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে বাইরে জেলা থেকে আগত ব্যক্তিদের। স্থানীয়রা জানান গ্রাম পুলিশ ও মেম্বরদের জানালে তাদের বাড়ীতে লাল ফ্লাগ দিলেও ঘরে থাকার নিশ্চিত করণে ব্যর্থ হচ্ছেন তারা।
অন্যদিকে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে হোম কোয়ারেন্টাইন, বাজার ও সড়কে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করণ অভিযানের কারণে উপজেলার এ প্রাপ্ত থেকে ঐ প্রান্তে বাইরের জেলা থেকে আগত ব্যক্তিদের বাড়ী বাড়ী যাওয়া অনেক সময় সম্ভব হচ্ছেনা উপজেলা প্রশাসনের। ফলে নির্দিধায় বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিবর্গ। করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সন্ধ্যায় থেকে গভীর রাত এবং ভোর ৪টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত সড়কে পুলিশী টহল জোরদার করণ ও বাইরে থেকে আগত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা নিশ্চিত করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন উপজেলাবাসী।