করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কালিগঞ্জের সরকারি কর্মকর্তা, স্বেচ্ছাসেবী ও জনপ্রতিনিধিরা কাজ করে চলেছে নিঃস্বার্থ ভাবে

29

মাসুদ পারভেজ, কালিগঞ্জ ।। করোনাভাইরাস মোকাবিলা ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি হ্রাসের লক্ষ্যে দেশে একটি উপযুক্ত আইন রয়েছে। সংক্রামক ব্যাধিতে মানুষ যেন নিজে বাঁচার পাশাপাশি অন্যকে সংক্রমিত না করতে পারে সে লক্ষ্যে আইনটি করা হয়। এই আইন অমান্য করলে শাস্তির বিধানও অত্যন্ত সুস্পষ্ট। সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ নামে বাংলাদেশেও কার্যকরী আইন আছে। জনস্বাস্থ্য-সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা মোকাবিলা এবং স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি হ্রাসের লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলের উদ্দেশ্যে ২০১৮ সালে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এ আইন লঙ্ঘন করলে ছয় মাসের কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে।

এই আইনের আওতায় ইতিমধ্যে সার দেশের বিভিন্ন জেলায় উপজেলায় বেশ কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়েছে। এরই ধারবাহিকতায় কালিগঞ্জ উপজেলায়ও সামাজিক দুরত্ব না মানায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে প্রায় দুই লক্ষাধীক টাকা জরিমানা করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হক রাসেল ও উপজেলার চৌকস সহকারী কমিশনার( ভূমি) সিফাত উদ্দিন এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। উপজেলা এলাকায় জগনের মাঝে যথেষ্ট সচেতনতা ফিরে এসেছে। থেমে নেই সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে নিয়মিত তদারকি আর অভিযান। এদিকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর নেতৃত্বে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা অব্যহত আছে। চলছে অবহেলিত, দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী প্রদানের কাজ।

উপজেলার মধ্যে জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, চিকিৎসক, সেচ্ছাসেবী সংস্থা ও কিছু এনজিও কর্মিরা মাঠে অবিরত কাজ করে আসছে। কর্মরত তাদের ভিতরে ছুকি নিয়ে অবিরত কাজ করে যাচ্ছে মিডিয়া কর্মীরা। তাই মিডিয়া কর্মীরা মনে করেন যদি উপজেলা প্রশাসন সংবাদকর্মীদেও জন্য অতি দ্রæত পিপিইর ব্যবস্থা করে তাহলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করা সম্ভাব হবে। ফলশ্রতিতে এখানকার জনগন অনেকটা স্বস্তিতে আছেন। তবে ত্রাণ নিয়ে অতৃপ্ততার বিষয়টা আলোচনায় বেশ জোরে শোরে চলছে নিন্ম ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে।