বিশেষ প্রতিবেদকঃ কপোতাক্ষ নদ যেনো বাপ দাদার পৈতৃক সম্পত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে অসাধু মৎস্যজীবিদের কাছে। দখল করে রেখেছে কোমড়-পাটাজাল -বাশঁ-খুটির উপকরনে মাছ ধরার ফাঁদ পেতে কপোতাক্ষ নদ ঘিরে। ঘিরে রেখেছে কপোতাক্ষ নদীর স্রোতের জলধারা শ্যাওলা আবদ্ধ ভূমিতে পরিনত করে।
পানি বৃদ্ধি ও অতিরিক্ত শ্যাওলা আবদ্ধে কপোতাক্ষের মধ্যবর্তী কোমড়ের দৃশ্যটিও বোঝার উপায় নেই।বন্ধ হয়ে গেছে স্রোতে শ্যাওলা ও পানি চলাচল। বিভিন্ন ডালপালা ও বাঁশ খুটি নদীর পানির ভিতরে পুঁতে-ঘিরে রাখায় স্রোতের বাধা সৃষ্টি হয়ে শ্যাওলা আবদ্ধ ভুমিতে পরিনত হয়ে হুমকিতে কপোতাক্ষ নদ।
এভাবে ডালপালা,পাটাজাল এবং কোমড়সহ মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণে কপোতাক্ষ নদ – শ্যাওলা ঘিরে রাখলে নদীর তলদেশ ভরাট হতে বেশি সময় লাগবে না। জলান্জলিতে পরিনত হবে সরকারের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার জাতীয় সম্পদ কপোতাক্ষ নদ খনন এবং কোটি কোটি অর্থ।
কপোতাক্ষের স্রোতের জলধারা বন্ধ হয়ে যাবে। ভোগান্তি পোহাতে হবে কপোতাক্ষ তীরবর্তি বসবাস করা হাজার হাজার জনসাধারণকে।দেখা দিবে কপোতাক্ষ উপছে পড়ে বন্যার পানি মানুষের বসত বাড়িতে। পুনরায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হবে শান্তি প্রিয় কপোতাক্ষ নদীর পার্শ্ববর্তী সাধারণ মানুষ বস্তি-তাবু ফেলে রাস্তার পাশে ছন্নছাড়া জীবন যাপন করতে।
ঘর বাড়ি ছেড়ে হাস-মুরগি-গরু-ছাগল- গর্ভবতী নারী ও কোলের শিশু সন্তান নিয়ে নানাবিধ ভোগান্তিতে থাকবে হাজার হাজার মানুষ- মুষ্ঠিমেয় অসাধু মৎস্যজীবিদের কারনে।
সল্প সময়ে কপোতাক্ষ নদ ভরাট ও পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে নদীর তলদেশ ভরাটে বন্যা দেখা দিবে। বিদেশীদের কাছে পুনরায় পরিচিত লাভ করবে শরণার্থী বস্তিগাড়া ত্রাণ খাওয়া ফকিরের জাতি হিসেবে দেশের বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষ।
অসাধুচক্র মৎস্যজীবিরা থেমে নেই স্বার্থাধারে কপোতাক্ষ নদ দখল থেকে এখনো অবধি। বাপ দাদার পৈতৃক সম্পত্তিতে পরিনত করেছে স্থানীয় অসাধুচক্র নিজেদের আখের গোছাতে কে বা কারা। দুর্নাম হচ্ছে সরকারি দলের-কতিপয় ওই সব অসাধুচক্রের কারণে।
সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে খনন করা কপোতাক্ষ নদ দখল করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের কোন এক অসাধু গোষ্ঠীর কে বা কারা।
এবং দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে তারা-এমনটাই বোঝাতে চেয়ে-হামলা মামলার ভয়ে নাম প্রকাশে অসম্মতি জানিয়ে আক্ষেপ করেন স্থানীয় একাধিক সচেতন ব্যক্তিবর্গ ।
শুশিল ব্যক্তিবর্গ আরও আক্ষেপ করে সাংবাদিকদের বলেন,গুটি কয়েক মানুষের জন্য সরকারের অর্থ-দেশের জাতীয় সম্পদ, দশের সম্পদ কপোতাক্ষ নদ ভরাটের উপক্রমে নষ্ট হতে বসেছে।
সরকারের কোটি কোটি টাকা জলান্জলিতে পরিনত হবে।পুনরায় নদী ভরাট হয়ে ভোগান্তি পাবে কপোতাক্ষ নদবর্তী হাজার হাজার জনসাধারণ।
সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ দেখার কেউ নেই,নেই কেউ দেশের ও দশের সম্পদ কপোতাক্ষ নদ অসাধুচক্রের কবল থেকে রক্ষা করার মত বলে আক্ষেপ করেন স্থানীয় একাধিক শান্তি প্রিয় জনসাধারণ।
কপোতাক্ষ তীরবর্তি স্থানীয় প্রভাবশালী ইঙ্গিত দিলেও ভয়ে কারো নামও প্রকাশ করেননি তারা।
বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়,সাতক্ষীরার কলারোয়া দেয়াড়ার পাকুড়িয়া ৬ নং ওয়ার্ডবর্তী ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেনের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় ও পাকুড়িয়া মাঠপাড়ার আব্দুল লতিফ দফাদারের বাড়ি সংলগ্ন চাকলা বাজার শ্বশান ঘাটের নিচ এবং দেয়াড়া ইউনিয়ন ঘেসা কপোতাক্ষ নদের একাধিক যায়গায় ডালপালা,কোমড়-পাটাজালসহ মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে শ্যাওলা আবদ্ধ করে রেখেছে অসাধুচক্র মৎস্যজীবির কে বা কারা।
এছাড়াও স্থানীয় অসাধু প্রভাবশালীদের বিষয়টি খোলাসা করতে গিয়েও থমকে ইতস্ততবোধে-উপজেলা দেয়াড়ার প্রাক্তন ছাত্রলীগের সভাপতি খায়রুল বাসার সাংবাদিকদের বলেন,উপজেলার ত্রিমোহীনি ঘাট থেকে শুরু করে দেয়াড়া ইউনিয়নের শেষ প্রান্তের খাজূরা ঘাটসহ উল্লেখ কপোতাক্ষ নদীর প্রায় যায়গায় শ্যাওলা আবদ্ধ ভূমিতে পরিনত করে রেখেছে অসাধুচক্র মৎস্যজীবিরা।
শ্যাওলা আবদ্ধ থাকাতে ডালপালা, কোমড়সহ মাছ ধরার ফাঁদ অস্পষ্টে এহেন কাজ হয়ে আছে কপোতাক্ষে।
কিছু এলাকায় স্পষ্ট জালপাটার মাছ ধরার ফাঁদ দেখা যায়। দেশ ও দশের জাতীয় সম্পদ কপোতাক্ষ বাঁচাতে ওইগুলো অপসারণ করা খুবই জরুরী বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে দ্রুত সংশ্লিষ্টদের নজরদারিতে এনে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ কপোতাক্ষ নদ বাঁচাতে এগিয়ে আশা জরুরি বলে মনে করছেন সচেতন ব্যক্তিবর্গসহ কপোতাক্ষ নদের পার্শ্ববর্তী জনসাধারণ।।