রমজানে ইফতার উপলক্ষে কারাগার থেকে ২৩ টাকার ইফতার দেওয়া হয় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্য কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীকে।
১৯ মে, শনিবার সকাল সোয়া দশটায় প্রতিবেদকে এমন কথা জানান সাঈদী পুত্র মাসুদ বিন সাঈদী ।
মাসুদ বিন সাঈদী এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘২৩ টাকা দিয়ে কি ইফতারি হয়?’ ২৩ টাকার ইফতারির খবর কীভাবে জানলেন? এমন প্রশ্নর জবাবে তিনি বলেন, ‘গত ৩ দিন আগে আব্বার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম আমরা তিন ভাই। কারাকর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আমরা শুনেছি আব্বাকে ২৩ টাকার ইফতারি দেওয়া হবে।’
তারা তিন ভাই হলেন- মাসুদ বিন সাঈদী, শামীম সাঈদী, নাসিম সাঈদী। তাদের সবার বড় ভাই রাফিক বিন সাঈদী মারা গেছেন কয়েক বছর আগেই। এরমধ্যে মাসুদ সাঈদী পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর উপজেলা চেয়ারম্যান।
মাসুদ সাঈদী আরও বলেন, ‘আব্বাকে কাশিমপুর কারাগারে রাখা হয়েছে।’
১৬ মে দুপুর ১২টায় সাঈদীর সঙ্গে দেখা করেছেন তার তিন ছেলে। কারাগারে কেমন আছেন আপনার বাবা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আব্বার বয়স ৮০ বছর। তিনি ৪০ বছর যাবত ডায়াবেটিক রোগে ভুগছেন। তার হার্টে ৫টি রিং পরানো আছে। তারপরেও বলব আলহামদুলিল্লাহ।
২০১২ সালে আব্বাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। এরপর তাকে চিকিৎসার জন্য আর কোথাও এডমিড করানো হয়নি।
আব্বার চিকিৎসার জন্য আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অনেক জায়গায় আবেদন করেছি। আবেদনে কাজ হয়নি। সর্বশেষ ৩ মে আব্বাকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আনা হয়েছিল।
আব্বাকে পিজির ডাক্তাররা দেখার পর হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু কারাকর্তৃপক্ষ হাসপাতালে ভর্তি না করিয়ে কারাগারে নিয়ে গেছেন। আব্বা হাঁটুতে, কোমরে ব্যথা পান অনেক আগে থেকেই। আমরা আব্বার চিকিৎসাকে গুরুত্ব দিতে বলবো সংশ্লিষ্টদের কাছে। কারণ দেশের অন্য নাগরিকরা কারাগারে থাকা অবস্থায় চিকিৎসার সুযোগ পেলে আব্বাকে কেন দেয়া হবে না? আমরা উনার পরিপূর্ণ চিকিৎসা চাই।’
এরআগে ৩মে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় সাঈদীকে চিকিৎসার জন্য কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হাসপালে আনা হয়েছিল ।