ওয়েজিলের অবসরে উত্তপ্ত ফুটবলাঙ্গন

8

স্পোর্টস ডেস্ক:

জার্মানির হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চড়িয়েছেন ৯২ বার।

সফল এই প্রজন্মের অন্যতম প্রতিনিধি হিসেবেই তাই ইতিহাসে চিত্রিত থাকবেন মেসুত ওয়েজিল। সেই তিনি কিনা আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিলেন ‘অসম্মান ও বর্ণবাদ’-এর শিকার হয়ে!

ঘটনার সূত্রপাত রাশিয়া বিশ্বকাপের আগেই। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের সঙ্গে ওয়েজিল ও ইলকে গুনদোয়ানের ছবি প্রকাশের পরই শুরু তোলপাড়। এই দুই খেলোয়াড় জার্মান হলেও তাঁদের পূর্বপুরুষ তুরস্কের। সে দেশের সঙ্গে এখন আবার চরম টানাপড়েন চলছে জার্মানির। বিশ্বকাপের আগের শোরগোল তবু থামানো গেছে; কিন্তু রাশিয়ায় প্রথম রাউন্ডে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের বিদায়ের পর ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হয় ওয়েজিলকে। দলের ব্যর্থতার দায় তাঁর ওপর চাপিয়ে এরদোয়ানের সঙ্গে ছবি তোলাটা নিয়ে আসা হয় সামনে। অপমান সইতে না পেরে জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা সৃজনশীল এ মিডফিল্ডারের, ‘আমি জাতীয় দলের জার্সি আর পরতে চাই না। যখন জিতি তখন আমি জার্মান, হেরে গেলেই হয়ে যাই অভিবাসী।

তবে যে ‘অসম্মান ও বর্ণবাদ’-এর অভিযোগ তুলে ওয়েজিলের এ সিদ্ধান্ত, তা প্রত্যাখ্যান করেছে জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ডিএফবি)। তবে এই মিডফিল্ডারকে আরেকটু আগলে রাখতে পারতেন বলে বিবৃতিতে স্বীকার করে নিয়েছে তারা, ‘জাতীয় দল থেকে ওয়েজিলের বিদায় অবশ্যই দুঃখজনক ঘটনা। তবে ডিএফবিকে বর্ণবাদের সঙ্গে যুক্ত করার অভিযোগ আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। কারণ অনেক বছর ধরেই আমরা বিভিন্ন পটভূমি থেকে আসা ফুটবলারদের একত্রিত করার কাজ করছি। এটি অনুশোচনীয় যে, ওর বিপক্ষে ধেয়ে আসা বর্ণবাদী আচরণের বিরুদ্ধে আমরা ওকে যথেষ্ট আগলে রাখিনি বলে ওয়েজিল মনে করেছে। কিন্তু আমাদের সব সময়ই সে চেষ্টা ছিল। ’

ওয়েজিলের সিদ্ধান্তের পক্ষে-বিপক্ষে এখন ঝড় বইছে জার্মানিতে। বায়ার্ন মিউনিখ প্রেসিডেন্ট উলি হোয়েনেস মনে করেন, নিজের খেলোয়াড়ি ব্যর্থতা ঢাকতেই বর্ণবাদের অভিযোগ তুলে অবসর নিয়েছেন এই মিডফিল্ডার। এদিকে একই ক্লাবের চেয়ারম্যান কার্ল-হেইঞ্জ রুমেনিগে আবার ওয়েজিলের পক্ষে। পুরো ব্যাপারটা যেভাবে সামলেছে, তাতে জার্মান ফুটবল ফেডারেশনকে তিনি অভিহিত করেন ‘অপেশাদার’ হিসেবে। ডিএফবির সাবেক প্রেস অফিসার হ্যারাল্ড স্টেগনার তো ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট রিনহার্ড গ্রিনডেলকে বলেছেন ‘গত ৫০ বছরের সবচেয়ে বাজে প্রেসিডেন্ট’। ওদিকে ওয়েজিলের অবসরের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। বিবিসি, এএফপি