লাইফস্টাইল ডেস্ক : সকালে ব্রেকফাস্টে এক বাটি গরম ওটস এর মত ফুলফিলিং এক্স্পিরিয়েন্স খুব কম খাবারেই পাওয়া যায়| অথবা সন্ধ্যের স্ন্যাক্সে টেস্টি কুকিজের সাথে পেয়ার আপ করুন ওটস| এতদিনে আমরা অনেকেই জেনে গেছি ওটস লো ইন ক্যালরি‚ ওয়েট ম্যানেজমেন্টে সাহায্য করে| কিন্তু জানলে অবাক হবেন তার সাথে সাথে ওটস নানারকম অসুখ যেমন ব্রেস্ট ক্যান্সার‚ টাইপ ২ ডায়াবেটিস‚ হার্ট ডিজিজ ও ব্লাড প্রেসার দমন করতে ও অত্যন্ত কার্য্যকরী| এর সাথে সাথে‚ রিসেন্ট স্টাডিতে দেখা গেছে ওটস হাই কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে| ওট ব্র্যান‚ ওট মিল‚ নানা রকম ওট যুক্ত খাবার খাওয়া উপকারী| নিয়মিত ওট খাওয়া আপনার জন্য সুস্বাস্থ্য এবং ভালো থাকার দরজা খুলে দিতে পারে|
ভাবছেন তো ওট্স খাওয়া কেন উপকারী? চলুন দেখি – ওটসের মধ্যে থাকে ম্যাগনেসিয়াম‚ প্রোটিন‚ ডায়েটারি ফাইবার| তাই ওট্স হজমে কোন অসুবিধে হয় না আবার একটা ফিলিং অনুভূতি আসে| ওটসে উপস্থিত প্ল্যান্ট লিগনান্সে অ্যান্টি ক্যান্সার প্রপার্টি থাকে| এই উপদান মেটাবলিজম বাড়াতে ও ইম্যিউনিটি বজায় রাখতে সাহায্য করে| বিটা গ্লুকেন ফাইবার হাইলি ভিসকাস হয়‚ যে কারণে স্লো ডাইজেসন হয় আর অনেক ক্ষণ পেট ভর্তি রাখে| এই ফাইবার উপকারী গাট ব্যাক্টেরিয়াকেও বুস্ট করে|
এখন প্রশ্ন হল ওটস খাবেন কি ভাবে? ওটস অনেক ভাবেই খাওয়া যায়| এখানে কয়েকটা সিম্পল উপায় দিলাম – ব্রেকফাস্টে ওটস খেতে পারেন দুধ দিয়ে| তার মধ্যে কুচি করে দিন পছন্দ মত ড্রাই ফ্রুট্স| – ব্রেকফাস্টে ওটস টক দৈ দিয়েও খেতে পারেন| সাথে দিন খুব ছোট ছোট কুচি করে আপেল বা খেজুর| পাওয়া গেলে স্ট্রবেরি আর ব্লু বেরি ও। খেয়ে দেখুন‚ দারুণ লাগবে| – মেন মিলে ভাতের বদলে সেদ্ধ করে নিন ওটস| ডাল‚ তরকারি‚ মাছের ঝোলের সঙ্গতে খেয়ে ফেলুন| – বানিয়ে নিতে পারেন ওটসের খিচুড়িও। – স্ন্যাক্স হিসাবে বানাতে পারেন ওটস ইডলি| খান সম্বর আর নারকোলের চাটনি দিয়ে| – বিকেলে চা বা কফির সাথে ওটস বিস্কিট খান| একটু ইন্ডাল্জ করতে ইচ্ছে করলে বানিয়ে নিন চকলেট চিপস ওট্স বিস্কিট| পেয়ে যাবেন স্বাদ এবং স্বাস্থ্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন।