অনলাইন ডেস্কঃ এবারের এশিয়া কাপের আয়োজক দেশ পাকিস্তান। আর বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ভারত। সেপ্টেম্বরে শুরু হবে এশিয়া কাপ আর ৫ অক্টোবর শুরু হবে বিশ্বকাপ। এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তান সফরে যাবে না ভারত। যে কারণে বিপদে পড়ে যায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। পাকিস্তানের আশা ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও শ্রীলংকান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি) ভারতকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে পাকিস্তানে এশিয়া কাপ খেলতে যাওয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করবে।
কিন্তু শ্রীলংকা পাকিস্তানের দুঃসময়ে পাশে না দাঁড়িয়ে নিজেরা এশিয়া কাপের আয়োজক হওয়ার ঘোষণা দেয়। তাদের সেই ঘোষণায় আরও বিপদে পড়ে যায় পিসিবি। যে কারণে এশিয়া কাপের আয়োজক ছুটে যাওয়ার শঙ্কায় বাধ্য হয়ে হাইব্রিড মডেল প্রস্তাব করে নাজাম শেঠির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের চাপের কারণে পাকিস্তানও বেঁকে বসে। তারাও ঘোষণা দেয় ভারত এশিয়া কাপ খেলতে না গেলে পাকিস্তান বিশ্বকাপ খেলতে ভারত সফরে যাবে না; কিন্তু এমন ঘোষণা দিয়েও ভারতকে বেশি চাপে রাখতে পারেনি পাকিস্তান। শুধু তাই নয়, ভারত তখন পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক স্বত্বও কেড়ে নিতে উঠেপড়ে লাগে।
ভারত-পাকিস্তানের এমন কাদা ছোড়াছুড়ির অবস্থা দেখে হঠাৎ করেই পাকিস্তান সফরে যান আইসিসি সভাপতি। তিনি পাকিস্তানকে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার জন্য বুঝিয়ে-সুঝিয়ে আসেন। পিসিবির চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি তখন জানান, সরকার অনুমতি দিলে তারা বিশ্বকাপ খেলতে ভারত সফরে যাবেন।
তখন ভারত পাকিস্তানের হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব মেনে নয়ে। সেই প্রস্তাবে বলা হয় পাকিস্তান ভারত ছাড়া বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, আফগানিস্তান ও নেপালের সঙ্গে একটি করে মোট ৪টি ম্যাচ ঘরের মাঠে আয়োজন করবে। আসরের বাকি ৯টি ম্যাচ হবে শ্রীলংকায়।
কিন্তু সম্প্রতি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন জাকা আশরাফ। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ঘরের মাঠে এশিয়া কাপের ম্যাচ বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
পিসিবির একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেছে, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) পরের বৈঠকে পাকিস্তান নিজের দেশে ম্যাচ বাড়ানোর ব্যাপারে আরও জোর দেবে। কারণ সেই সময়ে শ্রীলংকায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির কারণে একাধিক ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পাকিস্তানে বেশি ম্যাচ আয়োজন করা উচিত।