ঈদ চলে গেলেও যায়নি ঈদ আনন্দ

29
উপছে পড়া ভিড় দৃষ্টিনন্দন কলারোয়ার খোরদো ব্রিজে
বিশেষ প্রতিবেদক ।।
পবিত্র ঈদ-উল-আযহা সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের এক ত্যাগের মহিমান্বিত দিন।
আনন্দের দিন,খুশির দিন মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদের দিন।ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারা দেশে উদযাপিত হয়ে গেছে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা।
২২শে আগষ্ট বুধবার ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দের সাথে ঈদের দিনটি অতিবাহিত হয়ে গেলেও – ঈদের তৃতীয় দিনেও দেখা যায় আনন্দ উৎসুক জনতার এদিক ওদিক ছোটাছুটি।ছুটছে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে আনন্দ উৎসুক জনতা।
সেলফি তোলার হিড়িক,বিনোদন কেন্দ্র পরিদর্শন,বন্ধু শোভাকাক্ষী ও আত্মিয় স্বজনদের সাথে মিলনে পরশপর বাড়ি,বাজার,পার্ক এবং নির্দিষ্ট স্থানে মটরসাইকেল,পায়ে হেঁটে কিংবা অন্যান্য যানবাহন চড়ে একত্রিতে মেতে উঠেছে সকল বয়সী মানুষ ঈদের আনন্দে।
বিভিন্ন খাওয়া দাওয়া ও ঘুরাঘুরিতে কাটছে সারা বেলা সকলেরই ।করছে নানান আয়োজন চাকুরীজীবি ঘরমুখো মানুষ শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে একত্রিত হয়ে। ঈদ চলে গেলেও যায়নি ঈদ আনন্দ কারোর মাঝ থেকে একবিন্দুও সেটাই লক্ষনীয়।যার ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় ঈদ আনন্দ উৎসুক জনতা।২৪শে আগষ্ট শুক্রবার সকাল থেকে পড়ন্ত বিকালে দেখা যায় আরেক দৃশ্য উপজেলার খোরদো ব্রিজে উৎসুক জনতার ঢল।কেউ বসে নিরিবিলি গল্পে মেতে উঠেছে ব্রিজের দুই রেলিং’এ’।তারই ফাঁকে কেউবা সেলফি তুলে নিজের সাথে জড়িয়ে নিচ্ছে ওই দৃষ্টিনন্দন ব্রিজসহ অগনিত জনস্রোতকে।নিচ্ছে জড়িয়ে ব্রিজের নিচে বয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী নদ কপোতাক্ষকে – ঈদ আনন্দের স্মৃতিতে ভ্রাম্যমাণ ও দুরদুরান্ত থেকে ছুটে আসা আনন্দ উৎসুক জনতা।যে কপোতাক্ষ নদ মিশে আছে সনেট কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের নামের সাথে।
এদিকে চালকের হাতে সড়ক ও ব্রিজের মাঝ দিয়ে চলে যাচ্ছে বিকট শব্দে ছোট বড় যানবাহন নিরিবিলি আনন্দ উৎসুক জনতার আনন্দকে বিঘ্ন ঘটিয়ে।যেমন সড়ক,ব্রিজ ও জনপথে দ্রুতগামী যানবাহন অন্য দিকে আনন্দ উৎসুক জনতার বেশামাল আনন্দে সকল স্থান অবরুদ্ধ থেকে মাতোয়ারা।অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ উভয়েরই।তবুও চলছে আনন্দঘন দিন সকলের।
এছাড়াও,ঈদ আনন্দ প্রায় শেষ সরকারি বেসরকারি চাকুরীজীবিদের।ছুটির দিনটাও শেষ হতে চলেছে,মনটাও খারাপ হতে শুরু হয়েছে আপনজন এবং এলাকা ছেড়ে কর্মস্থলে যেতে হবে ভেবে।এমনটিই জানান ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরাঞ্চলে চাকুরীজীবিরা ।চাকুরীজীবি জৈনেক মোঃ মমিনুর রহমান ও অন্যান্যরা বলেন,দীর্ঘদিন ধরে বাইরে থাকতে হয়।বিশেষ উপলক্ষ ছাড়া ছুটি পাওয়া যায় না।আসতে পারি না বাড়ি এলাকায়।আর অনেক দিন পরে ঈদের আনন্দকে ঘিরে স্বজনদের সাথে এলাকায় ঈদের মজাটাই অন্য রকম।কিন্তূ ছুটির শেষের দিকে।চলে যেতে হবে সকলকে ছেড়ে এলাকা থেকে ভেবেই বেশ খারাপ লাগছে।

তবুও ঈদের আনন্দে বিভিন্ন এলাকার দৃশ্য ঘুরে ফিরে দেখলাম।এবং কপোতাক্ষ নদের উপর নির্মিত দৃষ্টিনন্দন খোরদো ব্রিজে পড়ন্ত বিকালে কয়েকজন বন্ধু মিলে সময়টা ভালই কাটছে এবং উপছে পড়া ভিড় দেখে আনন্দিত বলে জানান জনৈক মোঃ মমিনুর রহমানসহ উৎসুক জনতার অনেকেই ।